ছোটবেলার সেই বাঁশের ব্যাটেই সেঞ্চুরি হাঁকাবে টিম ইন্ডিয়া, স্বপ্নকে বাস্তব করে দেখাচ্ছে ত্রিপুরা
পাড়ার অলিতে-গলিতে বাঁশের টুকরোকে ব্যাট (Bat) বানিয়ে চার-ছয় মারতে দেখা গেছে অনেককেই। তবে সত্যিই যে বাঁশ দিয়ে ব্যাট (Bamboo Bat) বানানো সম্ভব এই কৌশল এতদিন মাথায় আসেনি কারোরই। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Cambridge University, England) গবেষকরা প্রথম এই অভিনব ব্যাট বানানোর কৌশল আবিষ্কার করেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী, “এই বাঁশের তৈরী ব্যাট ব্যাটসম্যানদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে। উইলো বলের সঙ্গে এই ব্যাটের সংঘর্ষে ইয়র্কার থেকে চার সমস্ত ধরনের স্ট্রোকই অতি সহজেই করা যাবে।”
তাঁদের এই ভাবনার বাস্তব রূপায়ন এবার হতে চলেছে খোদ ভারতের মাটিতেই। ভারতবর্ষের ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যে এবার তৈরী হতে চলেছে বাঁশের তৈরী ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট। স্বদেশী (swadeshi) শিল্পের বিকাশ ও আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২৮ শে অক্টোবর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সচিবালয়ে এই বাঁশের তৈরী ব্যাট ও স্টাম্পের সূচনা করেন। ত্রিপুরাতেই সর্বপ্রথম বাঁশের ব্যাট তৈরী হতে চলেছে। এর আগেও ত্রিপুরার বাঁশের তৈরী বোতল, চাল, বিস্কুটের চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারেও দেখা গেছিল।
ত্রিপুরার আগরতলার ব্যাম্বু অ্যান্ড কেন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটেই (BCDI) এই বাঁশের ব্যাট ও স্টাম্প তৈরী করার কাজ চলছে। সম্প্রতি ‘নেকটার’ (নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন এন্ড রিসার্চ) -এর ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার শর্মা ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব প্রশান্ত কুমার গোয়েলকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ” এই নতুন বাঁশের তৈরী ক্রিকেট ব্যাট ও স্টাম্প নতুন প্রজন্মকে শিল্পের প্রতি আরো আগ্রহী ক,এ তুলবে। মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নতির ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
তবে ক্রিকেট খেলার সমস্ত নিয়মকানুন নির্ধারণ করে থাকে লন্ডনের মার্লিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। এই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “বাঁশের ব্যাট অনৈতিক। এই ব্যাট ব্যবহার করতে হলে বর্তমানে প্রচলিত ক্রিকেটের আইনকে পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। কারণ বাঁশ একধরনের ঘাস, তাই তা দিয়ে ব্যাট তৈরী করলে তা নিয়মবিরুদ্ধ কাজ হবে।”
গবেষকদের মতামত অনুযায়ী এই ব্যাট, কাঠের ব্যাটের থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী হলেও এমসিসি-র তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি।