মদেও নেই শান্তি, খাওয়ার পর ফেরাতে হবে বোতল, মাথায় হাত সুরাপ্রেমীদের

করোনা মহামারী থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এসবের কারণে বিগত কয়েক বছরে গোটা বিশ্বে দেখা গিয়েছে খাবারের বিপুল পরিমাণ ঘাটতি। ফলে বহু দেশে খাদ্যমূল্য আকাশছোঁয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের ঘাটতি কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। বিভিন্ন সময়ে সবজি থেকে শুরু করে যাবতীয় মুদি সামগ্রী সব কিছুরই দাম বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। এমনকি অস্ট্রেলিয়া, জাপানের মত প্রথম বিশ্বের দেশেও এই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। আর এসব কারণে দাম বেড়েছিল বিয়ারেরও ( beer bottle price increase ) ।
গোটা বিশ্বে সুরাপ্রেমীদের অভাব নেই। তবে বিশ্বে করোনা আসার পর থেকে জিনিসপত্রের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাই বেড়েছে মাদকের মূল্যও। আর এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হওয়ায় আরও সমস্যা দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন জার্মানিতে কাচ সরবরাহ করত। তাই যুদ্ধের পর কাঁচের বোতলের দাম বেড়ে যায় এবং মাদকের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন জার্মানির সুরাপ্রেমীরা। রীতিমত মাথায় হাত ওঠে তাদের।
জানা গেছে সেই দেশে ওয়াইন তৈরির জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং বার্লির জন্য বেশি টাকা চাইছে সেই দেশ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি শোনা গেছে যে বেশ কিছু সংস্থা গ্রাহকদের খালি বোতল ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছে। মূলত কাঁচের সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় নতুন বোতল তৈরি না হওয়ার পুরনো বোতলকেই পুনর্ব্যবহারের করার কথা ভাবছে উৎপাদনকারীরা।
এছাড়াও যুদ্ধের জেরে মাদকের পাশাপাশি শস্য ও রান্নার তেলের সরবরাহও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে বিদ্যুতের মূল্যও। অস্ট্রেলিয়ার মত একটি প্রথম বিশ্বের দেশে বেড়ে গিয়েছে লেটুস পাতার দাম। এছাড়াও টমেটোরও দামও বেড়েছে অনেকটাই। এমনকি আমেরিকার মত দেশে দেখা দিয়েছে ভুট্টার ঘাটতি যার ফলে সিনেমা হলেও মিলছে না পপকর্ণ।