বলিউডের অন্ধকার ! সঞ্জয় থেকে শাহরুখ আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই বিখ্যাত তারকাদের
বলিউডের সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর থেকেই সামনে আসতে শুরু করেছে গ্ল্যামদুনিয়ার নানা জানা-অজানা রহস্য। এমন কি বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্র এবং অপরাধের কালো জগতের প্রত্যক্ষ যোগাযোগও সামনে এসেছে। সূত্রের মতে, মাফিয়া দুনিয়ার সঙ্গে বলিউডের নানা তারকার গুপ্ত যোগাযোগই তাদের ভালো চরিত্র পেতে সাহায্য করে! যদিও এহেন তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি দ্য বেঙ্গলি ক্রনিক্যাল।
১. সঞ্জয় দত্ত
বলিউডের ‘সঞ্জু বাবা’ ওরফে সঞ্জয় দত্ত পরিচিত তাঁর ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। যদিও তাঁর সঙ্গে মাফিয়া জগতের গুপ্ত যোগাযোগ রয়েছে বলেই মত বহু বিশেষজ্ঞের। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মাফিয়া যোগে নাম জড়ায় সঞ্জয়ের। সেই সময়ে অস্ত্র আইনে মামলাও হয় তাঁর নামে। কুখ্যাত ছোটা শাকিলের সঙ্গে সঞ্জয়ের কথোপকথনের রেকর্ড সকলের সামনে আনে মুম্বই পুলিশ। দীর্ঘ সময় জেলে থাকার পর অবশেষে ২০১৬ সালে মুক্তি পান সঞ্জু।
২. শাহরুখ খান
অন্যদিকে সঞ্জয় দত্তের মতো কিং খানের নামও জড়িয়ে পড়ে মাফিয়া জগতের ছোটা শাকিলের সঙ্গে! শাহরুখের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ দর্শকমহলে তেমন একটা স্থান না পেলেও এই সিনেমার পরেই শাহরুখ উড়ো হুমকি পান বলে খবর। ছোটা শাকিলের তরফে খুনের হুমকি পান বলিকিং!
৩. সালমান খান
বলিউডের তিন খানের একজন হলেন সলমন খান। এই সল্লু ভাইয়ের নামও বহুবার জড়িয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও গুরু সতমের সঙ্গে। এমন কি ১৯৯৩ সালে মুম্বই ব্লাস্টের বিষয়ে যে আগে থেকেই জানতেন সলমন, সে বিষয়ে পরবর্তীতে বহু তথ্য সামনে আসে। সঠিক তথ্যপ্রমাণের অভাবে সলমনকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ।
৪. মনিকা বেদী
গ্ল্যামদুনিয়ার চিরযৌবনা বলে খ্যাত মনিকা বেদীর নাম জড়ায় অন্ধকার জগতের গ্যাংস্টার আবু সালেমের সঙ্গে। সূত্রের খবর, মনিকা বেদীকে বিবাহ করেছিলেন আবু। পরবর্তীতে ‘জানম সমঝা করো’ এবং ‘জোড়ি নং ওয়ান’ ছবিতে চরিত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে আবুর প্রভাব কাজে লাগান মনিকা, খবর এমনই। অবশেষে আবু সালেমকে গ্রেফতার করার দরুণ মনিকা-আবুর সম্পর্কে চিড় ধরে।
৫. টুইংকল খান্না ও অক্ষয় কুমার
দাউদ ইব্রাহিমের পার্টিতে যোগ দিয়েছেন টুইংকল খান্না ও অক্ষয় কুমার, বলিউড মহলে এহেন গুজবে একসময় আঙুল ওঠে দুই বলিতারকার বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন অক্ষয়-টুইংকল। অন্যদিকে ১৯৯৫ সালে বলিউডের প্রযোজক জাভেদ সিদ্দিকী নিজের ছবিতে অনিতা আয়ুবকে নিতে অস্বীকার করেন। ফলস্বরূপ দাউদের খাস লোক সরাসরি গুলি করে খুন করে প্রযোজককে! টাকা না দেওয়ায় ১৯৯৭ সালে দাউদের গুণ্ডা গুলি করে খুন করার চেষ্টা করে টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে।