‘বাবার নীরব যন্ত্রণার সাক্ষী থেকেছি’, রণবীরের মুখে ঋষির স্মৃতিচারণায় আবেগে ভাসল নেটবাসী

প্রিয়া ধর, কলকাতাঃ মারণরোগ ক্যান্সার শুধু রোগীকেই বিপর্যস্ত করে দেয় এমনটা নয়। রোগীর সাথে সাথ রোগীর পরিবার পরিজনদেরও নাশ করে দেয়। তবে যারা এই লড়াইয়ে জিতে যায় তারা মৃত্যুঞ্জয়ীর থেকে কম কিছু নয়। বেশ কিছু সময় আগেই এই মারণরোগ কেড়ে নিয়েছিল বলিউডের প্রতিভাবান ও প্রবীণ হ্যান্ডসাম অভিনেতা ঋষি কাপুরকে ( legendary actor Rishi Kapoor )। বলিউডের অনেক তারকাই এই মারণব্যাধিকে জয় করতে পেরেছিলেন। তবে একসময়ের এই জনপ্রিয় অভিনেতা হেরে গেলেন রোগের কাছে।
সম্প্রতি ঋষিপুত্র বলিউডের হ্যান্ডসাম অভিনেতা রণবীর ( Ranbir Kapoor ) বাবার স্মৃতিচারণা করেন। বাবার গল্প বলতে গিয়ে তিনি জানান, বাবার মৃত্যু অভিনেতাকে বাবার অনেক কাছাকাছি নিয়ে যায়। বাবা হিসেবে নাকি ঋষি ছিলেন বেশ কড়া প্রকৃতির। ছেলে ও বাবার মধ্যে যে সমীকরণ থাকার কথা সেরকম একদমই ছিল না তাদের মধ্যে। বাবাকে বেশ সমীহ করে চলতেন অভিনেতা রণবীর।

আরও পড়ুন……………পৃথিবীর বাইরে রাগী গ্রহ বৃহস্পতিতে রয়েছে প্রাণ! গবেষণায় বিজ্ঞানীদের চাঞ্চল্যকর দাবি
ঋষির যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন বাবার পাশে শক্তভাবে ছাতা হিসেবে দাড়িয়ে ছিলেন পুত্র রণবীর কাপুর। মা নিতু ও বাবা ঋষি কাপুরকে যেন চোখে হারাচ্ছিলেন তিনি। তিনি আরও জানান, অভিনেতা ঋষি ও বাস্তবের ঋষির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। পর্দায় যতটা রঙ্গিন ততটাই শান্ত আর অল্পবাসী ছিলেন ঋষি কাপুর। রণবীর তার বাবার সাথে ব্যাক্তিগত ব্যাপারে খুব একটা কথা বলতেন না।

এই দূরত্বই নিকট হয়ে যায় নিউ ইয়র্কে হাসপাতালের বিছানায়। রণবীর বলেন, ‘ সে সময়গুলো বাবার জন্য একটা কঠিন সময় ছিল। চোখের সামনে দেখতে পেতাম দিন রাত মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে একটু শান্তিতে বাঁচার জন্য। সে সময় দেখতাম কিভাবে নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে কেমোথেরাপির অত্যাচার’। রণবীরের কথায় অনেক অজানা কাহিনী উঠে আসে।
আরও পড়ুন…………ভারতীর কোল আলো করল পুত্রসন্তান, খুশির আমেজের ছড়াছড়ি নেটপাড়ায়
উল্লেখ্য বাবার কথা বলতেই উঠে আসে বাবা হিসেবে ঋষিকাপুর নাকি বেশ দায়িত্ববান ছিলেন। নিজেদের ছেলে মেয়েরা যাতে ভবিষ্যতে সুখে ও ভালো থাকে সেই প্রচেষ্টাই করে যেতেন। বিছানায় শুয়েও নাকি ভাবতেন কবে বাড়ি ফিরবেন একসময়ের সুপারস্টার ঋষি কাপুর। ছেলে হিসেবে বাবার কাছ থেকে অনেক অমুল্য উপদেশ পেয়েছেন রণবীর কাপুর। জীবনে সেগুলোই বপন করার কথা জানিয়েছেন।