নষ্ট যাবে না একটা টাকাও! বেঁচে যাওয়া তরমুজের খোসা দিয়ে মিনিটেই বানিয়ে নিন তরমুজ খোসার ভর্তা

গরম মানেই শরীরকে ঠান্ডা রাখার হাজারটা উপায় খুঁজে বের করা। তরমুজ থেকে শুরু করে একাধিক ফলের রস এই সব পানীয়যোগ্য খাদ্য তৈরি করে তার উপর শরীরকে জিইয়ে রাখা। কিন্তু বর্তমান সময়ের বাজার মূল্যের চোখ রাঙানিতে যেন শরীর জুড়ে শিহরণ তৈরি করে। তার মধ্যে যা হোক করে কোনও ফল কিনে আনলেও অনেক অংশ বাদ পড়ে যায় খাওয়ার অযোগ্য বলে। যেমন লিচু কিনতে গেলে একেবারে গোটা টাকাটা তার ডাল ও পাতা কেনার জন্যই দিতে হয়। অনেকটা টাকা দিয়ে ক্রেতার হাতে আসে কিছুটা বন জঙ্গল ও গুটি কয়েক লিচু।
এমনটা হয়ে থাকে তরমুজের ক্ষেত্রেও লাল অংশটুকু খেয়ে ফেলে দিতে হয় মোটা একটা আস্তরণ। এমতাবস্থায়, বেশ চাপেই পড়ে যান সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি। কিন্তু কী করা যায়? চিন্তার হয় তো বিশেষ কারণ নেই, এই বিরাট সমস্যার জন্য রয়েছে একটি ছোট্ট উপায়। একটি তরমুজ কাটার পর তাঁর বেঁচে যাওয়া খোসা দিয়ে আজই বানিয়ে ফেলুন তরমুজ খোসার ভর্তা ( Tormuj Khosar Vorta )।
শুনে অবাক হলেন? কিন্তু এটাই সত্যি! খেতে যতটা সুস্বাদু, এই ভ্যাপসা গরমে ততটাই উপাদেয়। এই রান্নাটির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি হল, ১টা তরমুজের খোসা, ১চা চামচ আদা বাটা, ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো, ১চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/৪চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ কাঁচা মরিচ বাটা, ১/২ চা চামচ কালো জিরা, ২টো মরিচ চেরা, স্বাদ মত নুন ও চিনি এবং তার সঙ্গেই পরিমাণ মতো তেল।
উপকরণ জোগাড়ের পর পালা রান্না সেরে ফেলার। রান্নাটি কয়েকটি ধাপেই শেষ করা সম্ভব। বাড়িতে কোনও রকম ঝামেলা ছাড়া এই রান্না মিনিটেই করে ফেলা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই রান্নার ধাপগুলি –
- তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে সমস্ত খোসাগুলিকে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
- তেল গরম করে তাতে কালো জিরা ও কাঁচা মরিচ কুচি কুচি করে নেড়ে নিতে হবে।
- আদা বাটা ও ধনে জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং খোসা বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন নুন হলুদ দিয়ে।
- তারপর স্বাদ মত নুন ও চিনি দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।