রোববারের দুপুর মানেই পেটপুজো! তাই সপ্তাহান্তে পাতে থাকুক গরম ভাতে ‘কচি পাঁঠার ঝোল’…
আজ রবিবারের দুপুরে রাঁধুন 'কচি পাঁঠার ঝোল'। রইল রেসিপি

পূর্বাশা, হুগলি: সপ্তাহ জুড়ে খাটুনি। সকাল-বিকেল দৌড়ঝাঁপে মিস যায় লাঞ্চ কি ব্রেকফার্স্ট। মন চাইলেও পেটপুজোর সুযোগ মেলে কই? কিন্তু সপ্তাহান্তে রবিবার এলেই খুশি হয়ে ওঠে বাঙালির মন। কারণ রবিবার মানেই নস্ট্যালজিয়া। সকালে লুচির গন্ধ তো দুপুরে মাংস ভাত। ছুটির দিনে আয়েস করে ঘুম, ব্যাস আর কী চাই! দেখতে দেখতে ফের একটা রবিবার কড়া নাড়ছে দরজায়। আজ দুপুরে বানিয়ে ফেলুন ‘কচি পাঁঠার ঝোল’। একঝলকে দেখে নিন বানানোর রেসিপি।
কী কী লাগবে?
১) পাঁঠার মাংস ২) আলু ৩) টমেটো ৪) পেঁয়াজ কুচি ৫) আদা কুচি ৬) গোলমরিচ ৭) এলাচ ৮) হলুদ ৯) ধনে গুঁড়ো ১০) শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো ১১) নুন ১২) চিনি
কিভাবে বানাবেন?
প্রথমে পাঁঠার মাংস ভালো করে ধুয়ে তাতে নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, ও শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো ও দু চামচ সরষের তেল মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। তিন ঘন্টা ধরে ফ্রিজে রেখে দিন মাংস। এবার ওভেনে কড়াই বসিয়ে তাতে দিন সরষের তেল। তারপর কেটে রাখা আলু ভেজে নিন তাতে। আলু ভাজার আগে অল্প নুন মাখিয়ে নেবেন। এরপর গরম তেলে দিন তেজপাতা ও শুকনো মশলা। তারপর দিন পেঁয়াজ কুচি। সবটা ভালো করে মিক্স করে নিয়ে তাতে ছেড়ে দিন ম্যারিনেট করে রাখা মাটন। এবার পরপর দিতে থাকুন আদা বাটা, টমেটো ও আদা কুচি। মাংস-র সঙ্গে মশলাটা ভালো করে কষিয়ে নিয়ে তাতে দিয়ে দিন ভেজে রাখা আলু গুলো। এরপর কিছুটা জল দিয়ে কুকারের মুখ বন্ধ করে দিন। তিনটি সিটি পড়লে একবার ঢাকনা খুলে দেখে নিন। ফের দিন এক চামচ গরম মশলার গুঁড়ো। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে নামিয়ে আনুন ‘কচি পাঁঠার ঝোল’। গরম গরম ভাতের সঙ্গে রোববারের দুপুরে হোক জমিয়ে পেটপুজো।