অলিম্পিকের জন্য সমর্থকদের মধ্যে নেই সেমন উন্মাদনা
অলিম্পিক খেলার জন্য আম্বানি গোষ্ঠীর রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এক অভিনব পদক্ষেপ নেয়। আসুন জেনে নিই কি সেই পদক্ষেপ।

শুভঙ্কর, মুম্বই: আমাদের দেশে খেলা বলতে প্রাধান্য দেওয়া হয় শুধু ক্রিকেটকে। বাকি খেলাগুলি দেখলেও সেরম পায়না গুরুত্ব। তবে এটা যদি ফুটবল বিশ্বকাপ হয়, তাহলে ভারতে বাস করা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উন্মাদনা থাকত তুঙ্গে। অলিম্পিক হলেই মানুষ সেরমভাবে গুরুত্ব দেয়না। তবে দেখে হাতে গোনা কয়েকটা খেলা। তবে এবার এই অলিম্পিক নিয়ে এক অভিনব পদক্ষেপ নিতে দেখা গেলো আম্বানি গোষ্ঠীর রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনকে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল তারা। তাদের মূল লক্ষ্য, অলিম্পিক কতটা মূল্যবান, সেটা তরুণদের বোঝানো। সোমবার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাচের সঙ্গে মুম্বইয়ের রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ইয়ং চ্যাম্পস ফুটবল অ্যাকাডেমি দেখতে যান রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নীতা আম্বানি।
এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাচ জানান, “আমরা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনকে স্বাগত জানাই। মহারাষ্ট্রে তরুণদের মধ্যে অলিম্পিকের প্রাধান্য ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা চেষ্টা করব যাতে প্রতিটি তরুণ যেন উপকৃত হয়। আমাদের লক্ষ্য সকল তরুন ও শিশুর কাছে পৌঁছানো যাদের কপালে জুটছে না কোন সুবিধা।” রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নীতা আম্বানি বলেন, “এটা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। ওভিইপি খেলা এবং শিক্ষাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে। তার জন্য আমরা অত্যন্ত খুশি। আমাদের লক্ষ্য, ভারতের ২৫০ মিলিয়ন স্কুল ছাত্রের মধ্যে এই মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলা। দেখুন শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ তাদেরকে খেলাধুলার অধিকার দিতেই হবে। তা না হলে তারা আগে এগোবে কি করে।”
উল্লেখ্য, চিনে আয়োজিত এশিয়ান গেমস ২০২৩এ গতবারের তুলনায় ভালো ফল করেছে ভারত। ২০১৮এ যে পদকের সংখ্যা ছিল দুই সংখ্যার, এবার সেটা বড় ব্যবধানে পার করতে পেরেছে ভারত। এবারে ভারতের পদকের সংখ্যা ১০৭। সমস্ত খেলোয়ারদের অভিনন্দন জানিয়েছে গোটা দেশবাসী। তাছাড়াও সমস্ত খেলোয়ারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি টুইটের মাধ্যমে। এবার দেখার বিষয় এই সাফল্য থেকে তরুণ সমাজ কিছু শিখতে পারে কিনা।