ব্যাংককে যোগা প্রতিযোগিতায় ভারতের মুখ উজ্জ্বল করল দুই বাঙালি কন্যা
তাঁরা যোগাসন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেয়েছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থাইল্যাল্ডের রাজধানী ব্যাংককে ‘এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

শুভঙ্কর, কলকাতা: ভারতের মুখ উজ্জ্বল হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বিজ্ঞানীদের থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের মাধ্যমেও। সম্প্রীতি দুই বঙ্গ কন্যা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করলেন। তাঁরা যোগাসন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেয়েছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থাইল্যাল্ডের রাজধানী ব্যাংককে ‘এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিযোগিতায় দুই বঙ্গকন্যা স্বর্ণপক জেতেন। বর্ধমানের কাটোয়ার মেয়ে রঙ্গিতা দত্ত। বয়স মাত্র ২৭ বছর। তিনি ‘এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন’ প্রতিযোগিতায় ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সি বিভাগে স্বর্ণ জেতেন। অন্যদিকে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী বিভাগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্বর্ণপদক জেতে সায়ন্তনী দে।
এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসনে স্বর্ণপদকজয়ী এই দুই বঙ্গকন্যা কে জানেন? তাহলে একঝলক দেখে নেওয়া যাক তারা কারা। প্রথমে আসি সায়ন্তনীর কথায়। সে কাটোয়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তবে রঙ্গিতা সায়ন্তনের তুলনায় বেশ অনেকটাই বড়। তিনি স্নাতক উত্তীর্ণ। এছাড়াও রঙ্গীতা চাকরির পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে দুজনেই নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিত। তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কাটোয়ার একটি সংস্থায়।
এই প্রতিযোগিতায় ভারতসহ ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ছাড়াও মোট ১১ টি দেশের প্রতিযোগিতারা অংশগ্রহণ করেন। সায়ন্তনী ও রঙ্গিতাকে প্রশিক্ষণ দিতেন কৃষ্ণপদ নন্দী। তাদের এই স্বর্ণপদক জয়ে তিনিও বেশ খুশি। এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘ আন্তর্জাতিক এই যোগাসন প্রতিযোগিতায় মোট ৩০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোট তিনজন। তবে তাদের মধ্যে থেকে রঙ্গিতা ও সায়ন্তনী জয়লাভ করেন। তবে দুজনের বিভাগ হয়তো আলাদা।’ গত মঙ্গলবার তারা বাড়ি ফেরায় শুভেচ্ছা জানান পরিবার থেকে পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই।