6g – ঠিকমত ৫জিই এল না, এদিকে ভারতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ৬জি পরিষেবা
অহেলিকা দও, কলকাতা: কেনাই হলো না ৫জি (5g) মোবাইল! এই নিয়ে আপসোস করছেন? তাহলে শুনুন আপনাদের জন্য সুখবর ভারতে প্রথম লঞ্চ হতে চলেছে ৬জি (6g) প্রযুক্তি। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnav) জানিয়েছিলেন, ‘২০২৩ সালের শেষে এবং ২০২৪ সালের প্রথমদিকে ভারতে এই ৬জি প্রযুক্তি লঞ্চ করবে। এই সময়ে ৬জি টেকনোলজি লঞ্চ করাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান লক্ষ্য।’ মূলত ভারতে নেটব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা (Indian NetBanking system) চালানোর জন্য ভারতেই তৈরি করা হয়েছে এই টেলিকম সফটওয়্যার।
সম্প্রতি দ্যা ফাইনেনসিয়াল টাইমস এবং দ্যা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই দুই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ৬জি এর সমস্ত বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাঁর ধারণা, ইতিমধ্যে বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের এই বিষয় নিয়ে যাবতীয় অনুমোতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি তারা কাজও শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
চলতি বছরগুলোতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভালো ফল না হওয়ায় টেলিকম সংস্থাগুলির তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সকলের সুবিধা মতো আর্থিক প্যাক ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভোদাফোন ইন্ডিয়া, এয়ারটেলের মতো সংস্থাগুলি অনেক সুবিধা পেয়েছে। ভিআই সংস্থার মোট ঋণ ছিল ১.৯১ লক্ষ কোটি টাকা। তারা এখনও পর্যন্ত ৭,৮৫৪ কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছেন। তাদের আশঙ্কা ছিল ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যে পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা তার মধ্যে থেকে তারা প্রায় ২৩ হাজার কোটি অর্থ কম দিতে পারবে। তাদের আশঙ্কা ছিল তারা সব কিছু হারিয়ে ফেলবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন প্রযুক্তির ফলে সেই সমস্যা অনেকটাই দূর করতে পারেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, ‘আত্মনির্ভর ভারতের মাধ্যমে দেশেই এই ৬জি টেকনোলজি তৈরি করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ ভারতেই নির্মাণ করা হবে। এই ৬জি টেকনোলজি ভারতে তৈরি করে পুরো বিশ্বের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ভারতে ৪জি, ৫জি টেকনোলজি আসার পর ইন্টারনেট দুনিয়ায় যে পরিবর্তন এসেছিল, মনে করা হচ্ছে ভারতে এই ৬জি টেকনোলজি আসার পর ইন্টারনেট দুনিয়ায় এর থেকেও বড় পরিবর্তন আসবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আগামী বছরের মাঝামাঝি ৫জি স্পেকট্রাম নিলামের কাজও শুরু করা হবে। এর জন্য টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (TRAI) সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। টিআরএআই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মনে করা হচ্ছে পরের বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।’