ভূবিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ
পৃথিবীর মানচিত্র বদলে যাবে না তো? ভাবছেন এ কথা কেন বলছি? তাহলে জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

শুভঙ্কর, অস্ট্রেলিয়া: ভূবিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের বদলে যাবে কি পৃথিবীর মানচিত্র? ভাবছেন হঠাৎ পৃথিবীর মানচিত্র বদলানোর কথা কেন বলছি। ভাবছেন কি এমন আবিষ্কার করল যার জন্য পৃথিবীর মানচিত্র বদলে যেতে পারে? বলছি তার কারণ ভূবিজ্ঞানীদের একটি দল আবিষ্কার করেছে বিশ্বের অষ্টম মহাদেশ। কি শুনে একটু অবাক হলেন তো। কিন্তু এটাই সত্যি। ভূ বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছে পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ ‘জিল্যান্ডিয়া’। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যান্টার্কটিকার পরে নতুন নাম সংযোজন হলো। তাহলে এবার আসুন জেনে নিন মহাদেশটির সম্পর্কে।
‘জিল্যান্ডিয়া’ বিস্তৃত ১৮.৯ লক্ষ বর্গকিলোমিটার জুড়ে। মহাদেশটি ৯৪ শতাংশ সমুদ্রের নিচে। আর বাকি ৬ শতাংশ নিউজিল্যান্ডের চারপাশে দ্বীপ হিসেবে গঠিত হয়ে আছে। এই নতুন মহাদেশটি গঠিত হয়েছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, বল’স পিরামিড কিংবা নিউ ক্যালেডোনিয়া এই সবটা নিয়েই। এক কথায় বলতে গেলে টুকরো টুকরো অংশ নিয়ে নতুন মহাদেশটি গঠিত হয়েছে। এ তো গেল মহাদেশটির সম্পর্কে। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কে কবে এটি আবিষ্কার করেছেন। আবেল তাসমান নামের এক ডাচ নাবিক ১৬৪২ সালে প্রথম এই মহাদেশটি আবিষ্কার করেন। তবে তিনি সম্পূর্ণভাবে এই জায়গাটির খোঁজ পাননি। তিনি একটা মহাদেশের খোঁজ পেয়েছিলেন যেটি ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এরপরেও তিনি খোঁজ থামাননি। অনেক ভূবিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় ৩৭৫ বছর অনুসন্ধান করার পরে অবশেষে ২০১৭ সালে জিল্যান্ডিয়া মহাদেশটি আবিষ্কার করেন।
তবে এই মহাদেশে বিপুল পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানি আছে বলেই ভূবিজ্ঞানীদের দাবি। এই জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ এতটাই যে ভবিষ্যতে অন্যান্য মহাদেশের জ্বালানির চাহিদাও মেটাতে পারবে। অনেক আগে অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ছয় থেকে আট কোটি বছর আগে অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া আলাদা হয়ে যায়। আর এর পরেই জিল্যান্ডিয়া সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যেতে থাকে। এবার সেই লুকিয়ে থাকা মহাদেশটি খুঁজে পেল ভূ বিজ্ঞানীরা।