এ যেন একেবারে বিপদ গলায় ঝোলানো! বরমাল্য হিসাবে বিষাক্ত সাপ পরেই বিয়ে দম্পতির

বর্তমানে নেট মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও। এসব ভিডিওর মধ্যে অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ধরনের বিবাহের নিয়ম চোখে পড়ে। আর এসব ভিন্ন ধরনের বিবাহের নিয়ম দেখে মানুষ আশ্চর্যও হয়ে বটে। তবে আপনি কখনো বিবাহে বরমালার জায়গায় বিষাক্ত সাপের ব্যবহার হতে দেখেছেন? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিও দ্রুতগতিতে ভাইরাল হয়ে যায় যেখানে দম্পতি বরমালা জায়গায় একে অপরের গলায় ঝুলিয়ে দিচ্ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল ( Video of bride and groom snake exchange video went viral ) হওয়ার পর থেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা।
সাপ একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর প্রাণী। তা সে সাপের আকার বা জাত যাই হোক না কেন, তাদের সাথে ভয়ে মুখোমুখি হওয়ার কথা কল্পনাই করতে পারে না মানুষ। আর সেখানে সাপ নিয়ে সোজা মাল্যদান! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বিড জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে বর ও কনে প্রথাগত ফুলের মালার পরিবর্তে মারাত্মক সাপের মালা বেছে নিয়েছিল। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সাদা পোশাক পরা দম্পতি, একে অপরের গলায় সাপ জড়িয়ে আছে। এবং তাদের মুখে ভয়ের কোনো চিহ্নই ছিল না।
View this post on Instagram
এই ধরনের ভিডিও অনেক পূর্বে একবার দেখা গিয়েছিল। সম্প্রতি আবারও ভাইরাল হয় এই ভিডিও। প্রসঙ্গত এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালে। এবং এরপর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিওটি, যা দেখে প্রায় হতবাক সকল নেটিজেন। ২০১০ সালের ১২ নভেম্বর তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে সাপের মালা বিনিময় করেছিলেন সিদ্ধার্থ সোনাভানে এবং শ্রুষ্টি আউসারমাল নামে এই দম্পতি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায় কনে প্রথমে বরের গলায় একটি বিশাল সাপ রাখে আর এরপর বর আবার একটা বড় অজগর এনে কনের গলায় পরিয়ে দেয়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তা রীতিমতো নেটিজেনদের হতবাক করে দিয়েছে। অনেকেই এই বিয়েতে কি হয়েছিল তা জানতে আগ্রহী ছিল আবার অনেকেই এই উদ্ভট বিবাহের আচার নিয়ে ঠাট্টা করেছিল। ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই হওয়ার পর থেকেই ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আসতে থাকে। একজন ব্যবহারকারী লেখেন এটা আবার কোন ধরনের বিয়ে। আরেকজন লেখেন বিয়ে করতে হবে মানে করতেই হবে, বিপদে মনে হয় এরা ভয় পায় না। প্রসঙ্গত এই দম্পতি বনদপ্তর বিভাগের কর্মচারী, যারা রাজ্যের একটি প্রত্যন্ত জেলায় থাকেন।