পেটে খিদের জ্বালা! খাদ্যের অভাবে বন ছেড়ে দারস্থ মানুষের দরবারে

বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার দরুন মানুষের বাসস্থানের অভাব দেখা দিচ্ছে। আর সেই জন্যই মানুষ নিজেদের বাসস্থানের জন্য ক্রমশ বন কেটে বনজ প্রাণীদের বাসস্থান ধ্বংস করে চলেছে। ফলে খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সেসব প্রাণীরা। আর ঠিক এই কারণের জন্যই বিভিন্ন সময় খাদ্যের অভাবে সেসব প্রাণী প্রবেশ করছে মানুষের বসতিতে। পূর্বেও বহুবার বিভিন্ন ভিডিওতে এরকম ঘটনা দেখা গেছে। তবে সম্প্রতি এরকম আরো একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তি। একটি ভাল্লুকের পুরো পরিবারকেই তিনি খাদ্যের অভাবে ( Hungry Bear Video ) বসতি অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেখেন।

সম্প্রতি, একটি ভিডিও ভাইরাল ( Hungry Bear Video ) হয় যেখানে একটি ক্ষুধার্ত ভাল্লুকের গোটা পরিবারকে দেখানো হয়। সেই ক্ষুধার্ত ভাল্লুকের পরিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী একজন ব্যক্তির বসতিতে হঠাৎই প্রবেশ করেছিল।শুধু তাই নয় সেই ব্যক্তির গাড়ির দরজাও দুবার খোলার চেষ্টা করেছিল।

ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী সেই ব্যক্তি বিল ডুভাল এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে তিনি সিয়েরা মাদ্রেতে নিজের কুকুরের সাথে গাড়িতে বসে ছিলেন।এরপর তিনি গাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎই দুটি ভাল্লুকের বাচ্চা গাড়ির কাছে আসে এবং গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে।ভিডিওতে ( Hungry Bear Video ) দেখা যায় যে ভাল্লুক আসতে দেখে তিনি তৎক্ষণাৎ গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন।বিল ডুভালের কোলে একটি কর্নড বিফ স্যান্ডউইচ রাখা ছিল। এবং তিনি মনে করেন ওই স্যান্ডউইচের গন্ধেই সেই বাচ্চা ভাল্লুক দুটি গাড়ির কাছে এসেছিল।

বিল ডুভাল আরও বলেন যে অনেকবার গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করার পর যখন ভাল্লুকের বাচ্চা দুটি বুঝতে পারে যে গাড়িটি খুলবে না তখন তারা সেখান থেকে চলে যায়। ডুভালের মতে ওই ভাল্লুকের বাচ্চা দুটির মধ্যে একটি বাচ্চা ছিল আইরিশ এবং এই জন্যই সেই বাচ্চাটি কর্নড বিফ সান্ডউইচ খেতে এসেছিল। এছাড়াও ভিডিওতে ( Hungry Bear Video ) দেখা যায় বাচ্চা দুটি চলে যাওয়ার পর অদূরেই মা ভাল্লুকসহ আরও দুটি ভাল্লুক উপস্থিত আছে।

ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অনুসারে সেখানে কালো ভাল্লুকের সংখ্যা গত কয়েক দশকে অনেকটাই বেড়েছে।রক্ষণশীল অনুমান অনুসারে গোটা ক্যালিফোর্নিয়াতে কালো ভাল্লুকের সংখ্যা এখন ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ মত রয়েছে৷যেখানে ১৯৮২ সালে তা ছিল ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০।

আরও পড়ুন:“কাশ্মীর ফাইলস দেখে মনে এলো বাঙালি হিন্দু সংকটের কথা” দাঙ্গার পুরানো স্মৃতি উস্কে দিলেন তসলিমা

মূলত খাদ্য এবং বাসস্থানের অভাবই হল একমাত্র কারণ যার জন্য এই ধরনের হিংস্র প্রাণীগুলো মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ছে এবং মানুষের খাদ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।হয়তো তাদের বাসস্থান এভাবে মানুষের দ্বারা ধ্বংস নাহলে এসব প্রাণীদের লোকালয়ে খাদ্যের জন্য প্রবেশ করার প্রয়োজন পড়ত না।

আরও পড়ুন:কাজে চলে আসবে অনীহা, জেনে নিন পৃথিবীর সব চেয়ে বিরক্তিকর পেশাগুলি




Leave a Reply

Back to top button