বোঝো ঠ্যালা! মহারাষ্ট্রের হোলির আজব ঐতিহ্যে হাসির খোরাক নতুন জামাই বাবাজীবন

এ দেশে প্রতিবার ধূমধাম করে পালিত হয় হোলি। দেশ জুড়ে এই রঙের উৎসব এক-এক সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করেন এক-এক ভাবে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিড গ্রামে নব্বই বছরের পুরনো যে রীতি ( Donkey Ride of New Son In Law ) হোলির দিন চলে আসছে তা জেনে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হতেই পারে। আর আপনি যদি “নতুন জামাই” (Son-in-law) হন, তবে ভুলেও হোলির দিন ওই গ্রামের পথ মাড়াবেন না। এই আতঙ্কের কারণ? সে তেমন কিছু নয়, তবে শোনার পর বিষয়টা আপনার ধাতে সইবে কিনা ভেবে দেখবেন! ওই গ্রামে (Beed) গত নব্বই বছর ধরে চলে আসছে এক আজব প্রথা। হোলির দিন যখন রঙের উৎসবে সবাই মশগুল থাকেন, সেই সময় মহারাষ্ট্রের বিড গ্রামে “নতুন জামাই”-কে তাঁর পছন্দসই জামাকাপড় পরিয়ে বসানো হয় গাধার পিঠে ( Donkey Ride of New Son In Law )। এখানেই শেষ নয়, এই অবস্থায় বেচারা জামাই বাবাজীবনকে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম ( Donkey Ride of New Son In Law )। ভাবুন একবার, নতুন জামাই গাধার পিঠে চড়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করছেন, আর সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন গ্রামবাসীরা। বেচারা নতুন জামাই পরিণত হন হাসির খোরাকে। 

এখানকার স্থানীয় সাংবাদিক পিটিআই কে জানিয়েছেন, “৩-৪ দিন সময় নিয়ে গ্রামের কোনও এক নতুন জামাইকে বেছে নেওয়া হয় ওই প্রথা ( Donkey Ride of New Son In Law ) পালনের জন্যে। এর পরে, গ্রামবাসীরা তাঁর দিকে কড়া নজর রাখেন যাতে তিনি কোনওভাবেই হোলির দিন গ্রামের বাইরে পালাতে না পারেন। এই বছর দত্তাত্রেয় গায়কোয়াড় নামে এক ব্যক্তি ভিদা গ্রামে ওই আজব অভ্যর্থনা  ( Donkey Ride of New Son In Law ) পেয়েছেন।  আশা করি এই জাতীয় অভ্যর্থনা কোনও জামাই ই নিতে চাইবেন না। তাহলে আর রক্ষে থাকবে নে। 

কিন্তু কীভাবে এই আজব প্রথা ( Donkey Ride of New Son In Law )  চালু হল সেই গ্রামে? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই গ্রামেরই জামাই অঙ্গন দেথে বলেন যে এই ঐতিহ্য নব্বই বছর আগে গ্রামেরই এক স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব আনন্দ রাও দেশমুখ শুরু করেছিলেন। দেথে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “এই প্রথা ( Donkey Ride of New Son In Law )আনন্দ রাওয়ের জামাইয়ের সঙ্গে প্রথম শুরু হয় এবং তখন থেকেই এটি চলে আসছে। আমি যখন বিয়ে করার পরে এই গ্রামে এসেছি তখন আমাকেও গাধার পিঠে ( Donkey Ride of New Son In Law ) করে গ্রামে ঘোরানো হয়েছিল”। গাধার পিঠে নতুন জামাইকে চাপিয়ে গ্রামের ঠিক মাঝখান থেকে ভোরবেলা ওই যাত্রা শুরু হয়, তারপর সকাল ১১ টা নাগাদ হনুমান মন্দিরে গিয়ে শেষ হয় সেটি। সেখানে গ্রামের লোকেরা ওই জামাইকে তাঁর পছন্দসই জামাকাপড়ও উপহার দেন। অনুষ্ঠান টি মজার হলেও বেচারা জামাই বাবাজীবন আর যাই হোক হোলির দিন ওই পথ মাড়াবেন না আর কোনদিন বোধহয় ।  

আরও পড়ুন মুখ ঢেকে রাখার বিতর্ক, হিজাব বোরখা সমস্যা মোকাবিলায় দেশগুলির লম্বা তালিকা

আরও পড়ুন ওটিটি দুনিয়ায় বাদশার পদার্পণ,নতুন বছরে ফ্যানেদের দিলেন নয়া চমক




Leave a Reply

Back to top button