আর দেখা যাবে না মিমের রাজা ‘চিমস’কে, মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেট মাধ্যমে
করোনার সময়ই সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসে এক সারমেয়। তার বিভিন্ন অঙ্গী-ভঙ্গি, কখনও নিষ্পাপ হাসি-হাসি মুখ, চাপের মধ্যে থাকা প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিল।

শুভঙ্কর, কলকাতা: কয়েক বছর আগে ভারত সহ গোটা বিশ্ব কোভিড মহামারীর কবলে পড়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। প্রায় সকলকেই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে হয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটানোর পর প্রত্যেকের কাছে ‘টাইম পাসের’ প্রধান অস্ত্র হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। সেই সময়ই সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসে এক সারমেয়। তার বিভিন্ন অঙ্গী-ভঙ্গি, কখনও নিষ্পাপ হাসি-হাসি মুখ, চাপের মধ্যে থাকা প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিল। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে চিমস ওরফে বলটজের। তবে এই সারমেয়ের আর নতুন কোন ভিডিও বা মিম দেখা যাবে না। অনেক ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে এই পোষ্য। মারণ রোগের অস্ত্রোপচারের সময় গত শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে মিম দুনিয়া কাঁপানো চিমসের।
করোনাকালে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই চারপায়ের প্রানী। শিবা ইনু জাতের কুকুর ছিল চিমস। গোলগাল চেহারা, টানা চোখ, অদ্ভুত হাসিতে মন সকলের জয় করে নিতে সময় নেয়নি সে। তবে জানা যাচ্ছে প্রায় মাস ৬ আগে তার শরীরে দানা বাঁধে মারণ রোগ ক্যান্সার। এর ফলেই অস্ত্রোপচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে বলটজের। প্রিয় পোষ্যকে বাঁচাতে সব রকম চেষ্টা করে তার মালিক। এমনকি চিকিৎসাকের পরামর্শতে অস্ত্রপোচারের জন্যও রাজি হয়ে যান তিনি। তবে মালিক এবং চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যার্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই পোষ্য। কুকুরটির মালিক সামাজিক মাধ্যমে তার প্রিয় পোষ্যের মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছেন। এই খবর পাওয়ার পরেই নেট দুনিয়াতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তার মালিক লিখেছেন, ‘চিমসের চলে যাওয়াতে কেউ মন খারাপ করবেন না। বরং মনে ভাবুন, সে আমাদের প্রত্যেককে কতটা আনন্দ দিয়েছে। কীভাবে সে করোনাকালে আমাদের ভালো রাখতে সাহায্য করেছে। এখন বলটজ আকাশে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানেও নিশ্চয়ই ও ভালো ভালো খাবার খাচ্ছে”।
চিমসের মালিক আরও জানিয়েছেন বলটেজের চিকিৎসার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ অনেকটা বেঁচে গিয়েছে। সেই টাকা তার কাছেই রয়েছে। আগামীতে তিনি এই অর্থ স্থানীয় কোন পশু চিকিৎসাকেন্দ্রে দান করবেন।