পুজোর দিনে দুর্ঘটনার জেরে মৃত ১২ জন সহ আরও ১
ঠাকুর দেখেতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হল আরও ১ জনকে। দুর্ঘটনা নাকি প্রশাসনের গাফিলতি।

নদীয়া : ঠাকুর দেখতে গিয়ে আবারও মৃত ১। মৃতের নাম কাশীনাথ মন্ড। জানা গেছে , মৃত ব্যাক্তির বাড়ি কোতালিয়া থানার অন্তর্গত মানিকতলাতে। কাল বিকালে বাইকে করে মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়েছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ঠাকুর দেখবেন বলে। সেই ঠাকুর দেখেতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হলো কাশীনাথ মন্ডকে। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাদের বাইকটিতে। তাতে ছিটকে পড়ে যায় দুজনেই।
সেই ঘটনা দেখে সাথে সাথে ছুটে আসন প্রত্যক্ষদর্শীরা ও তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে নিয়ে যাওয়া হলে কাশীনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন ডাক্তার ও মেয়েটি তখনো গুরুতর চোটের সাথে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তপক্ষ। এরপর ঘটনার খবর দেওয়া হয় পুলিশকে । তারা এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ও ঘাতক বাসকে আটক করেছে পুলিশ।
এছড়াও জানা গেছে এই ঘটনার পাশাপাশি পুজোর দিন কাল নবমীতে পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের। মোট মিলিয়ে এই নিয়ে মাত গেছেন , এখনো পর্যন্ত ১২ জন।
নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তফুলিয়া পেট্রোল পাম্পে তেল নিয়ে দুই ব্যক্তি মোটরবাইক চালিয়ে বেরহচ্ছিলেন। এমন সময়ে উল্টো দিক থেকে আরও একটি মোটরবাইক এসে মুখোমুখি ধাক্কা মারে। দুই মোটরবাইকের তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাঁদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়াতেও মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হন।তাঁকে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বর্তমানে তাঁরা রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে প্রশ্ন উঠছে একটাই যে, পুজোর রাতে পর পর কিভাবে এরম ধরনের ঘটনায় প্রাণ যায় এত গুলো মানুষের। তবে কি প্রদানের তরফ থেকে কোনো নিরাপত্তার অভাব পড়ছে পুজোর রাত গুলিতে? নাকি এগুলি শুধুই দুর্ঘটনা মাত্র ?