‘মৃতদেহ’ বেঁচে উঠল, নিজেই উঠে বসে জল খেয়ে আবার মরে গেল, ‘ভূতুড়ে’ কাণ্ড ভাতারে
উঠে বসে জল খেল ‘মৃতদেহ’! তারপর আর সাড়াশব্দ নেই, অবাক কাণ্ড পূর্ব বর্ধমানে!

বর্ধমান: এই বিশ্বে কত কী না ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনাও ঘটে যার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে কার কথা সত্যি আর কার কথা মিথ্যে সেটা আপাতভাবে তাৎক্ষণিক বিচার করা যায় না। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তেমনই ঘটনা হল। পরিবারের দাবি ছোটন সর্দার নামে এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। এরপর সেই দেহটি বাড়ি আনা হয়। আর এরপর বাড়িতে ওই দেহটি নড়ে ওঠে। পরিবারের দাবি, দেহটি জল চেয়ে খায়। তারপর আর সাড়াশব্দ দেয়নি। আবার নিথর হয়ে গেল দেহ। এমনটাই দাবি পরিবারের।
এই বিশ্বে কত কী না ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনাও ঘটে যার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে কার কথা সত্যি আর কার কথা মিথ্যে সেটা আপাতভাবে তাৎক্ষণিক বিচার করা যায় না। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তেমনই ঘটনা হল। পরিবারের দাবি ছোটন সর্দার নামে এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। এরপর সেই দেহটি বাড়ি আনা হয়। আর এরপর বাড়িতে ওই দেহটি নড়ে ওঠে। পরিবারের দাবি, দেহটি জল চেয়ে খায়। তারপর আর সাড়াশব্দ দেয়নি। আবার নিথর হয়ে গেল দেহ। এমনটাই দাবি পরিবারের। এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় ছোট্টু সর্দার বলেন, “এদিন ভোর তিনটের সময় হাসপাতালে নিয়ে যাই । আমরা খবর পাই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে । পরে তাঁকে ট্যাবলেট খাইয়ে ইনজেকশন দিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু বাড়ি ফিরিয়ে আনার সময় ছোটনের হেঁচকি উঠতে শুরু করে । ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে । এদিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বললেও বাড়িতে আনার পর উঠে বসে জল খেতে চায় ছোটন । সেই জল খেয়ে নেওয়ার সময়ই তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল । কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় ছোটনের।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসক ময়নাতদন্তের কথা বলতেই পরিবারের লোকজন দেহ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জয়রাম হেমব্রম বলেন,”ওই যুবক মারা যাওয়ার পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয় । চিকিৎসার কোনও গাফিলতি নেই। তাদের যখন বলা হয় প্রয়োজনে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে । একথা শুনে তারা মৃতদেহ নিয়ে চলে যায় ।”