Jalpaiguri: সিলিংয়ের দিকে তাকাতেই শরীরে হিমস্রোত জলপাইগুড়ির বিডিও কর্মীর! শুয়ে বিরাট এক ……….

দিন প্রতিদিন গরমটা যে ভাবে বাড়ছে তাতে বেঁচে থাকা বড়ই জ্বালা। এই সংলাপ এখন হয় তো প্রায় প্রতিটা বাঙালির মুখে মুখেই ঘুরছে। সত্যিই তো! গরমটাও যেন একেবারে কোমড় বেঁধে সাধারণের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে পড়েছে। আর জিতেও চলেছে। কারণ প্রকৃতির কাছে মানুষ তো নিঃস্ব। যাই হোক, এই গরম থেকে রেহাই পেতে প্রায় ২৪ ঘন্টাই আমরা ফ্যানের ব্যবহার করে থাকি। যা খুবই সাধারণ একটি দৈনিক অভ্যাস। 

আর এই সাধারণ অভ্যাসেই এদিন গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীর ঠান্ডার জন্য ফ্যানটা চালাতে যায় জলপাইগুড়ির এক বিডিও  অফিসের কর্মী। আসলে বিডিও ক্যান্টিনে প্রতিদিনের মতো খেতে এসে ফ্যানের নীচে নিজের খাবার নিয়ে বসে আরাম ও ভুরি ভোজ করে সে। প্রতিদিনের মতোই এদিনও একই জায়গায় বসে গরমের মধ্যে শরীরটাকে জিরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সে ফ্যানের সুইচের হাত বাড়াতেই যেন একেবারে চমকে ওঠে। আর তার সেই দশা দেখে হুলুস্থুলু পড়ে যায় বিডিও অফিস জুড়ে। ফ্যানের মধ্যেই গা এলিয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিরাট লম্বা পাইথন। 

python (1)

ঘটনা নাগড়াকাটা বিডিও অফিসের। সেখানে সোমবার দুপুরে উদ্ধার হয় এই আট ফুটের পাইথনটি। বিডিও ক্যান্টিনের একটি পাখার মধ্যে ঝুলেছিল এই বিরাট সাপ। যা দেখে একেবারে পিলে চমকে ওঠে বিডিও কর্মীদের। উল্লেখ্য, ক্যান্টিনে কিছু কর্মী খেতে বসেছিলেন সেই সময় একটি হিস হিস শব্দ সকলের কানে গিয়ে যেন টোকা দেয়। সেই সময়ই গরমের কারণে এক ব্যাক্তি ফ্যান চালাতে উঠে দেখে লম্বালম্বি ভাবে শুয়ে এক বিশাল পাইথন। মুহূর্তে যেন সংক্রমণের মতো ভয় ছড়িয়ে পড়ে বিডিও জুড়ে। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় সাপটিকে উদ্ধার করেন সর্পপ্রেমী সৈয়দ নইম বাবুন।

প্রসঙ্গত, নাগরাকাটা বিডিও অফিসের গা ঘেষেই ক্যান্টিনটি অবস্থিত। পাশাপাশি ওই ক্যাম্পাসেই রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির অফিস, খাদ্য দপ্তরের অফিস, শিক্ষা সার্কেলের অফিস। প্রায় সারাদিনই ওই ক্যান্টিনে কর্মীদের ভিড় লেগেই থাকে। পাইথনটিকে দেখতে পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে ক্যান্টিন খালি হয়ে যায়। পরে পাইথনটিকে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেন সর্পপ্রেমী সৈয়দ নইম বাবুন।




Leave a Reply

Back to top button