একাঙ্ক নাটকে সেরা জলপাইগুড়ির সবজি বিক্রেতার মেয়ে
জলপাইগুড়ি শহরের মারোয়াড়ি গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পুনম রায়। বাবা সবজি বিক্রেতা। সুযোগ পেলো রাজ্য স্তরের কলা উৎসবে প্রথম হয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। গত সপ্তাহে দুই দিন ধরে আয়োজিত হয়েছিল রাজ্য কলা উৎসব । সেই উৎসবেই দুর্দান্ত অভিনয় করেন পুনাম রায় তার অভিনয়ের বিষয়বস্তু ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ইতিহাস দেবী চৌধুরানীর ভূমিকা

জলপাইগুড়ি শহরের মারোয়াড়ি গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পুনম রায়। বাবা সবজি বিক্রেতা। সুযোগ পেলো রাজ্য স্তরের কলা উৎসবে প্রথম হয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। গত সপ্তাহে দুই দিন ধরে আয়োজিত হয়েছিল রাজ্য কলা উৎসব । সেই উৎসবেই দুর্দান্ত অভিনয় করেন পুনাম রায় তার অভিনয়ের বিষয়বস্তু ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ইতিহাস দেবী চৌধুরানীর ভূমিকা। ওই উৎসবে জলপাইগুড়ি জেলা থেকে আরো দু’জন তৃতীয় পুরষ্কার পেয়েছে। তাঁদের নাম যথাক্রমে দেবজিত ভদ্র ও তমোজিত দেবনাথ।
পুনমের বাড়ি শহরের সুকান্ত পাড়া কলোনিতে। তাঁর বাবা সঞ্জীব রায় পেশায় সবজি বিক্রেতা। তার এই সাফল্যের পিছনে একটু বড় ভূমিকা আছে । তার স্কুলের দুই শিক্ষিকা তমালিকা দত্ত ও পারমিতা দত্ত। তারা নিজেরদের মেয়ে এর মত করে তাকে এই উৎসবের নাটকের জন্য তৈরি করেছিলেন। অভাবের সংসারে মেয়ে পুনম তার এই সাফল্য গোটা জলপাইগুড়ি এর মুখ উজ্জ্বল করবে ।
জলপাইগুড়ির জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) সঞ্জীব কুমার দাস জানান, ৩ ছাত্রছাত্রীই জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। পুনমের সাফল্যের প্রশংসার কোন ভাষা নেই।
জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা পুনামের আন্তর্জাতিক স্তরে জিতে ফিরে আসার আশা রাখছে। গোটা বিশ্বের তরকারি জলপাইগুড়ির মেয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে ভারতের যেমন জলপাইগুড়ির ইতিহাস ফুটিয়ে তুলেছিলে রাজ্যের দরবারে তেমনি আন্তর্জাতিক দরবারে ফুটিয়ে তুলবে ভারতের ইতিহাস । জলপাইগুড়ির ভিডিও অফিসার বলেছেন পুনামের আন্তর্জাতিক স্তরে নাটক প্রদর্শনীর জন্য যে ব্যবস্থা করা দরকার তাতে তিনি পূর্ণ সাহায্য করবেন।