পাঞ্জাবের জয়ের পরের দিন বাংলায় পা আম আদমির, মালদায় মিলল একাধিক পোস্টার

নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসতেই দেশ জুড়ে পরিবর্তন হয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণের। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে বেশ সরগরম পরিস্থিতি ছিল দেশ জুড়ে। তবে ফলাফল সামনে আসতেই উত্তেজনা পরিণত হয় আনন্দে। দেশের চার রাজ্যে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার গড়ে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে দেখা যায় ঐতিহাসিক ফলাফল। ওই রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গড়ে দেশের সামনে নজির তুলে ধরে বিজেপি। তবে শুধুই উত্তরপ্রদেশ নয় উত্তরাখন্ড, মণিপুর, গোয়াতেও নিজের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয় বিজেপি।

তবে এই বারের নির্বাচনে এক অন্যরকম রাজনৈতিক সমীকরণের দেখা মেলে পাঞ্জাব জুড়ে। অনেকটা সময় ধরেই পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সরকার। তবে ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে যে পালাবদল হতে পারে এই আশঙ্কা পেয়েছিল অনেকেই। আর কংগ্রেসের সেই ভীতি প্রাপ্তি পেল বাস্তবের। নির্বাচনের ময়দানে নেমে একেবারে ভরাডুবি কংগ্রেসের। আর এদিকে পাঞ্জাবের রাজনৈতিক সমীকরণে পরিবর্তন ঘটিয়ে সেই রাজ্য নিজেদের দখলে নিল দিল্লির ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি পার্টি। তবে পাঞ্জাব দখল করেই থেমে যেতে চাননি তাঁরা। আগামীদিনে লক্ষ্য বাংলা দখল আর সেই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আম আদমি পার্টি।

Aam Aadmi Partyউল্লেখ্য, বাংলায় কিছুদিন আগেই মিটেছে পুরভোট। আর বিধানসভা নির্বাচনের মতোই পুরভোটেও বঙ্গ জুড়ে দেখা গেছে সবুজ ঝড়। পুরভোট মিটতেই রাজ্যের নানা এলাকায় ডাক পড়েছে পঞ্চায়েত ভোটের। আর এই নির্বাচনকেই নিজেদের প্রথম ধাপ করতে মরিয়া হয়েছে দিল্লির ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি সরকার। ইতিমধ্যে পাঞ্জাব জয়ের পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে একটা জায়গা করে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। এবার নিজেদের সেই ভাবমূর্তিকেই কাজে লাগিয়ে বাংলার ময়দানে নামতে চলেছে তাঁরা। এদিন রাজ্য আম আদমি পার্টির একজন নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই দিল্লির নির্দেশে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে পদার্পণ করতে পারে আম আদমি পার্টি।

আরও পড়ুন…Punjab Polls: মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের তারিখ জানা যাবে আজ সন্ধায়, জানালেন মান

আর ওই বক্তব্যকে ধরেই বাংলার বুকে পদার্পণ করে ফেলেছে দিল্লির ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি পার্টি। এদিন মালদার ইংলিশবাজারে দেখা গেল দিল্লির আম আদমি পার্টির পোস্টার। পাঞ্জাব জয়ের পরেই বাংলা জয়ের লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, নানা সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের দিদির মতো বলে উল্লেখ করেন কেজরিওয়াল। এবার সেই দিদির বিরুদ্ধেই হয় তো ভোটের ময়দানে নামতে পারে তাঁরা। আরবিন্দের প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপকে ২০২৪-এর সড়ক তৈরির সরঞ্জাম বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্র শাসিত এলাকার মুখ্যমন্ত্রী থেকে আজ একটি গোটা রাজ্য তাঁর দখলে। আগামী দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে উঠে দাঁড়ানোর দিকেই পা বাড়াচ্ছেন তিনি, এমনই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।




Leave a Reply

Back to top button