‘নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ’ – পোস্টারেই মমতাকে হুঁশিয়ারি কেজরিওয়ালের

বঙ্গ রাজনীতিতে সমস্ত নির্বাচন প্রায় শেষ হয়ে গেলেও পরিস্থিতি এখনও সরগরম। আর এই সরগরম পরিস্থিতির পিছনে আপের হটাৎ আগমনকেই দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দল। সামনেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বলা চলে রাজনীতির একদম প্রাথমিক স্তরের নির্বাচন এই পঞ্চায়েত ভোট। একটি দলের আগামীদিনে লড়াই এই নির্বাচন দিয়েই শুরু হয়। আর এবার এই নির্বাচনের আগেই রাজ্য জুড়ে শুরু শোরগোল।

এবারের পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচনের ময়দানে দেখা যেতে পারে দিল্লির আম আদমি পার্টিকে। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উল্লেখ্য, বাংলায় কিছুদিন আগেই মিটেছে পুরভোট। আর বিধানসভা নির্বাচনের মতোই পুরভোটেও বঙ্গ জুড়ে দেখা গেছে সবুজ ঝড়। পুরভোট মিটতেই রাজ্যের নানা এলাকায় ডাক পড়েছে পঞ্চায়েত ভোটের। আর এই নির্বাচনকেই নিজেদের প্রথম ধাপ করতে মরিয়া হয়েছে দিল্লির ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি সরকার। ইতিমধ্যে পাঞ্জাব জয়ের পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে একটা জায়গা করে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। এবার নিজেদের সেই ভাবমূর্তিকেই কাজে লাগিয়ে বাংলার ময়দানে নামতে চলেছে তাঁরা। এদিন রাজ্য আম আদমি পার্টির একজন নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই দিল্লির নির্দেশে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে পদার্পণ করতে পারে আম আদমি পার্টি।

Aam Aadmi Partyআর ওই বক্তব্যকে ধরেই বাংলার বুকে পদার্পণ করে ফেলেছে দিল্লির ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি পার্টি। গতকাল মালদার ইংলিশবাজারে দেখা গেল দিল্লির আম আদমি পার্টির পোস্টার। পাঞ্জাব জয়ের পরেই বাংলা জয়ের লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা। গতকাল পোস্টার আর আজ থেকে আবার শুরু হল আম আদমি পার্টিতে যোগদান করানোর বহর। ফোন নম্বর মাধ্যমেই হবে দলে যোগদান। নিজেদের নম্বর ছড়িয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। সাথে দেওয়াল জুড়ে লেগে গেছে আরও কত শত পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে, ‘নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ’। তবে এই আম আদমি পার্টির আগমনকে বিশেষ নজর দিতে চায় ন তৃণমূল।

আরও পড়ুন….টোটোতে খোয়া গিয়েছিল টাকা ভর্তি ব্যাগ, বৃদ্ধের হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ ফিরয়ে মানবিকতার নয়া নজির চালকের

বলে রাখা ভালো, নানা সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের দিদির মতো বলে উল্লেখ করেন ( Aam Aadmi Party ) কেজরিওয়াল। এবার সেই দিদির বিরুদ্ধেই হয় তো ভোটের ময়দানে নামতে পারে তাঁরা। অরবিন্দের প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপকে ২০২৪-এর সড়ক তৈরির সরঞ্জাম বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 




Leave a Reply

Back to top button