বঙ্গে ঝাড়ুর বাতাস! মার্ক্স-মোদী-মমতাকে রাজনৈতিক হাওয়ায় ওড়াতে পদার্পণ কেজরিওয়ালের

মিটেছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন দেশ জুড়ে গেরুয়া ঝড় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বিরোধীদের। তবে চার রাজ্যে জয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হলেও পঞ্জাবে দেখা গেছে অন্য রাজনৈতিক সমীকরণ। বহুকালের কংগ্রেসী শিখরকে উপড়ে ফেলে দিয়েছে ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি পার্টি। আর গেরুয়া শিবির সেই সবের মাঝখানে পাত্তাও করে উঠতে পারেনি। তবে পঞ্চনদ জয় করেই থেমে যায়নি আপের রাজনৈতিক সফর। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ট্রেনে উঠে পড়েছে কেজরিওয়ালও। আর সেই ট্রেন ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি নেমে পড়ার বান্দা তিনি নন। এখনও বহু পথ বাকি।

পঞ্জাব জয় করে তাই এবার পাড়ি দিয়েছেন বাংলায়। চোখে রয়েছে বিকল্প রাজনীতি গড়ে তোলার স্বপ্ন। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য জুড়ে সরগরম রাজনীতি। একে গোয়ায় তৃণমূলের হার, তারপর আবার আম আদমির আগমনের হুঁশিয়ারি। এই সব কিছু নিয়েই চিন্তার মেঘ ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে নবান্নের আকাশে। বিগত কয়েকদিন রাজ্যে আপের আগমনের খবর ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্য আপ নেতৃত্বরা। নানা জায়গায় পড়ছে পোস্টার। আজ থেকে আবার শুরু হয়েছে আম আদমি পার্টিতে যোগদান করানোর বহর। ফোন নম্বর মাধ্যমেই হবে দলে যোগদান। নিজেদের নম্বর ছড়িয়ে দিয়েছে ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি পার্টি। সাথে দেওয়াল জুড়ে লেগে গেছে আরও কত শত পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে, ‘নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ’।

Aam Aadmi Partyএবার আসব আসব করে অবশেষে বঙ্গে পদার্পণ আম আদমি পার্টি। বাতাস যথারীতি ছড়িয়ে দেওয়া হয়ে গেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা। আর সেই লড়াইয়ের সূত্রপাত হবে হয় তো কাল থেকেই। আগামীকাল কলকাতার বুক দিয়ে হাঁটবে আম আদমি পার্টির মিছিল। বিকাল ৪টের সময় গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চলবে ( Aam Aadmi Party ) আম আদমি পদার্পণ যাত্রা। দিল্লির রাজনৈতিক ময়দান থেকে বঙ্গের বুকে পা। আগামীদিনের রাজনৈতিক সমীকরণকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এই দলের বঙ্গে উত্থান। তবে সে সব কিছুই এখন ভবিষ্যৎ।

আরও পড়ুন….নিলামে ১২০০০ বছর পুরোনো ম্যামথের দাঁত, ইউক্রেনের পাশে মৎস্যজীবী

প্রসঙ্গত, নানা সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের দিদির মতো বলে উল্লেখ করেন ( Aam Aadmi Party ) কেজরিওয়াল। এবার সেই দিদির বিরুদ্ধেই হয় তো ভোটের ময়দানে নামতে পারে তাঁরা। অরবিন্দের প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপকে ২০২৪-এর সড়ক তৈরির সরঞ্জাম বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

 

 




Leave a Reply

Back to top button