‘ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে উন্নয়নের জয়’, ধূপগুড়ির ফল প্রকাশের পর টুইট অভিষেকের
ধূপগুড়ি ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। চার হাজারের কিছু বেশি ভোটে বিজেপির তাপসী রায়কে পরাস্ত করলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। উত্তরবঙ্গের আরও একটি আসনে উড়ল সবুজ আবির।

ধূপগুড়ি ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। চার হাজারের কিছু বেশি ভোটে বিজেপির তাপসী রায়কে পরাস্ত করলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। উত্তরবঙ্গের আরও একটি আসনে উড়ল সবুজ আবির। স্বাভাবিকভাবেই খুশি দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, ‘ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে উন্নয়নের জয়’।
ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে ‘ধূপগুড়ি’ মহকুমা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। নির্বাচনের দু’দিন আগে অভিষেক কীভাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। তবে সেই প্রতিশ্রুতির কারণে তৃণমূল কিছু ভোট বেশি পেয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী তাপসী।
ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে মমতা প্রচারে যাননি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল নাকি এই আসনে জেতার খুব একটা আশা করেনি। এই অবস্থায় ভোটের প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার – পুরো দায়িত্বটাই নিজের কাঁধে তুলে নেন অভিষেক। তাই ধূপগুড়ির এই জয়ে অভিষেকের কৃতিত্ব রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘ঘৃণার রাজনীতি ও ধর্মান্ধতার পরিবর্তে ধূপগুড়ির মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে বেছে নিয়েছেন। সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। তৃণমূল কর্মীদেরও তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য কুর্নিশ। আমরা ধূপগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না’।
ধূপগুড়ি রাজবংশী অধুষ্যিত এলাকা। ২০২১–এর বিধানসভা ভোটে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও এই আসন জিতেছিল বিজেপি। সামনে লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে ধূপগুড়ি হাতছাড়া হওয়ায় গেরুয়া শিবির কিছুটা হতাশ। অন্যদিকে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণমূল।