আজ ইডি দফতরে হাজিরা অভিষেকের, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিষেক এই সংস্থার সিইও। সেই সূত্রেই এদিন অভিষেককে তলব করেছে ইডি।

আজ বুধবার ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিষেক এই সংস্থার সিইও। সেই সূত্রেই এদিন অভিষেককে তলব করেছে ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর ইডি দফতরে পৌঁছনোর কথা। তবে অভিষেককে সমন পাঠালেও তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে মৌখিকভাবে আদালতকে জানিয়েছে ইডি-র আইনজীবী।
এদিন দিল্লিতে শরদ পওয়ারের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার এবং আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তৃণমূলের তরফে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু ইডি ডাকায় জোটের বৈঠকে থাকতে পারছেন না অভিষেক। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। কেন বেছে বেছে ১৩ সেপ্টেম্বরই তলব? তৃণমূলের এই প্রশ্নেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
অভিষেকের হাজিরা ঘিরে সাজো সাজো রব সিজিও কমপ্লেক্সে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। মাছি গলারও উপায় নেই। যারাই ঢুকছেন পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে। তারপর হচ্ছে স্ক্যান। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এলাকা। সাংবাদিকদের তার পিছনে থাকতে বলা হয়েছে। এদিন সকালে টুইট করেছেন তৃণমূলের মিডিয়া সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। ‘ভয় পেয়েই এজেন্সিকে ব্যবহার’ তত্ত্বে শান দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পঞ্চায়েতের পরাজয়, ধূপগুড়িতে হার/ এমনতরো হলে পরে রাগ হবে না কার?/ ভীষণ রাগে তাইতো ছুড়ে মারছে সিবিআই/ আমরা কি আর পলকা অত, একটু তে ভয় পাই?’
তবে সমন পাঠানো মানেই গ্রেফতারি নয়। অভিষেকের হাজিরার আগে গতকাল আদালতে এ কথাই বলেছে ইডি। অভিষেকের জন্য রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সওয়ালে তিনি বলেন, ‘ইডির উপর ভরসা নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেতার করতে পারে। তাই রক্ষাকবচ দেওয়া হোক’। পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, ‘তেমন কোনও অভিপ্রায় নেই। সমন পাঠানো মানেই গ্রেফতারি নয়। ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। নিজেরাই গ্রেফতারির কথা ভাবছেন’। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিষেককে রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত।