রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের আক্রমণ জয়শংকরের
কানাডা, পাকিস্তান, চীন ও ইন্ডিয়া জোট, সবাইকে একসাথে আক্রমণ করেন তিনি।

শুভঙ্কর, কলকাতা: সব জায়গাতেই রাজনীতি! সে রাজ্যের দলেদের মধ্যে হোক কি দেশের দলেদের মধ্যে হোক বা দেশ বনাম বিদেশ, সব ক্ষেত্রেই লেগেই রয়েছে একটা স্বার্থের বা লক্ষ্যের যুদ্ধ। যেমন ভারতীয় রাজনীতিই ধরুন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে সর্বদাই লড়াই চলছে কেন্দ্রের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় কংগ্রেসের। শুধু এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই চলছে বিভিন্ন রাজ্যের অবিজেপি দলগুলির। কিন্তু গ্লোবাল ফ্রন্ট থেকে এক অন্যরকম রাজনৈতিক যুদ্ধে ভারত সরকার, অর্থাৎ ভারতীয় জনতা পার্টি। একদিকে পাকিস্তানের সাথে জম্মু ও কাশ্মীর ঘিরে চলছে এক লড়াই, অন্যদিকে লাল ড্র্যাগন চীনের সাথে অরুণাচল প্রদেশ, গালওয়ান ঘিরে যুদ্ধ। এখন আরেক যুদ্ধের সাথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত সরকার। সেটি হলো কানাডার সাথে। যুদ্ধের বিষয় ভারত বিদ্বেষী খালিস্তানী ও খালিস্তান পন্থী সংঠনগুলিকে কানাডার মদত। তবে এবার সমস্ত বিরোধীদের রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি ও আক্রমণ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
কানাডা ও চীনকে একসাথে আক্রমণ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, সন্ত্রাসবাদ বা চরমপন্থা কোনোদিনই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। তিনি বলেন, “একটি দেশ যাতে অন্য দেশের নিজস্ব বিষয় হস্তক্ষেপ না করতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ প্রত্যেকটি দেশের। সন্ত্রাসবাদ বা চরমপন্থার ভিত্তি হতে পারে না রাজনৈতিক কারণ।” অন্যদিকে পাকিস্তানকেও নাম না করে আক্রমণ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ জম্মু ও কাশ্মীর হোক কি লাদাকের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিষয় হোক, এগুলি সম্পূর্ণভাবে ভারতের নিজের। পাকিস্তানের মন্তব্য করার কোন প্রয়োজনই নেই।”
তবে শুধু বিদেশী শত্রু নয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে দেশের বিরোধী দলগুলিকেও আক্রমণ করেন জয়শংকর। ফের ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক উসকে দেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী একটিই মাত্র ছোটো মন্তব্য করেন, ‘নমস্তে ফ্রম ভারত।’ এছাড়াও ভারতবর্ষের বিভিন্ন সফলতার কথাও তিনি তুলে ধরেন মঞ্চ থেকে, যেমন জি ২০ ও চন্দ্রযান অভিযানের সাফল্য।