প্রেম মানেনা কোনোও বাধা! সুন্দরবনের জঙ্গল পেরিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলেন বাংলাদেশের মেয়ে

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: প্রেম একটি বড় বিপর্যয়। মানুষ প্রেমে পড়লে কী করতে পারে তার কোনো হিসাব নেই। এই কথার প্রমাণ পওয়া গেছে বহুবার। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার ( social media ) যুগে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে প্রেম এবং তারপর বিয়ে এ কথা আর নতুন কি। তবে প্রেমের টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পালিয়ে আসার ঘটনাটা শুনে হইত চমকে যাবেন অনেকেই। সম্প্রতি শোনা গেল এমনই এক তাজ্জব করা ঘটানা।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের আলাপ। তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস সামাজিক মাধ্যমেই চলতে থাকে উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা। কখনো ফোন কখনো ভিডিও কল। আর তাতেই আরও গারো হতে থাকে তাঁদের সম্পর্ক। এরপর দু’জনে সীধান্ত নেই বিয়ে করার ( Bangladeshi girl )। কিন্তু বিয়ে করা একটু অসুবিধা ছিল। কারণ দুই ভালোবাসার মানুষ ছিলেন কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা দুটি আলাদা দেশের। আর এই ব্যবধান মেটাতে তরুণী সিদ্ধান্ত নিলেন এমন করার।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ওই তরুণীর নাম কৃষ্ণা মন্ডল ( Krishna Mandal )। ছয় মাস আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর এলাকার রানিয়া অভিক মণ্ডলের ( Avik Mandal ) সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তাঁর। শেষমেশ প্রেমের টানে, মনের মানুষকে বিয়ে করতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে পৌঁছলেন যুবতী! তাও আবার নাকি বাঘের আতঙ্ক উপেক্ষা করে সুন্দরবনের (Sundarban) জঙ্গল, নদী পায়ে হেঁটে!
২২ বছরের ওই তরুণী এক সংবাদমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের ( Bangladeshi girl ) শ্যামনগরে। সেখান থেকে কালিন্দী নদী পেরিয়ে ভারতে চলে আসেন তিনি। ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও রাতে ওই এলাকা ফাঁকা ছিল, ফলে সমস্যা হয়নি। সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এসে নদী পেরিয়ে আসার পর উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে তরুনীকে নিয়ে আসে প্রেমিক। আর সেখান থেকেই সোজা কালীঘাটে গিয়ে বিয়েও করে নেয় তাঁরা।
বিয়ের পর কেটে গেছে কয়েক মাস। ভালো ভাবেই অভীকের সঙ্গে সংসার করছিল কৃষ্ণা ( Bangladeshi girl )। কিন্তু হঠাৎ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ রনিয়া থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে তরুণীকে। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন অভীক। এক সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে কৃষ্ণার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, সে সত্যিই সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে নদী পেরিয়ে এসেছে না বেআইনিভাবে তাকে কেউ অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করেছে তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।