Biman Bose: ভোটের আগে মীনাক্ষী, সৃজন মাঠে নামলেও, আলিমুদ্দিনের কুর্সি ‘সাদা চুল’ বিমানের দখলেই

দিন কয়েক আগেই রাজ্য বামের সম্পাদক পদে আসীন হলেন মহম্মদ সেলিম ( Mohammad Salim )। সাদা চুলের পরিবর্তে কিছুটা নতুন ভাবনা ও নবীন প্রকৃতির মহম্মদ সেলিমকে রাজ্য সম্পাদকের পদে বসিয়ে মনে জোর পেল বঙ্গে বাম শিবির। মনে আশা তৈরি হল, সাধারণের কাছে আর ‘বৃদ্ধদের দল’ নয় নবীনদের প্রতীক হয়ে উঠবে সিপিআইএম। কিন্তু দিন শেষে কি সেই ভাবনা পেয়েছে সফলতা? নাকি আবার সেই একই রাস্তায় হাঁটা লাগিয়েছে বাংলার বামেরা ( West Bengal CPIM )? হয় তো এই প্রশ্নের জবাবই আজকের এই সিদ্ধান্ত। 

‘বয়স নীতি’ মেনে অন্যান্য সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রবীণ সিপিআইএম নেতা বিমান বসু ( Biman Bose )। কিন্তু নেতৃত্বের প্রশ্নে ফ্রন্ট এখনও অশীতিপর বিমানের উপরেই আস্থা রাখছে। মঙ্গলবার সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কিন্তু ফ্রন্টের এই সিদ্ধান্তকে বিমান বসু মেনে নেবেন কিনা এই প্রসঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল অনেক। তবে ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখে আপাতত বঙ্গ বামেদের চেয়ারম্যান পদেই বহাল থাকছেন প্রবীন সিপিআইএম নেতা বিমান বসু।  

উল্লেখ্য এ প্রসঙ্গে বাম নেতৃত্বদের যুক্তি, ফ্রন্ট পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও কাজের দিক থেকে তাঁর সমতূল্য কেউ হতে পারে না। বস্তুত, অন্যান্য বিষয়ে নানা মতবিরোধ থাকলেও এই প্রসঙ্গে বিমান বসুকেই চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান দলের কর্মীরা। অবশ্য রাজ্য বামের এই সিদ্ধান্তকে এক অন্য নজরে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মতে, কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের অন্দরে তৈরি নিয়মকে নিজেরাই ঠিক করে মানতে পারেন না। সে ‘এক ব্যাক্তি, এক পদ’ হোক কিংবা ‘বয়স নীতি’। নিজেদের আইনকে নিজেরাই ভাঙে। তবে এই নিয়ম ভাঙার প্রসঙ্গকে মান্যতা দিতে রাজি নয় বঙ্গ বামেরা। তাঁদের দাবি, বিমান বসু নিজেই সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমনকী, ‘বয়স নীতি’ ব্যাতিক্রম করে নিজেও চেয়ারম্যান পদে আসীন হতে চাননি তিনি। বয়স ৮০ পেরিয়ে গেলেও আজও নবীনদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মিছিল, কর্মসূচীতে তাঁকে দেখা যায়। 

এদিকে, আর এক শ্রেণীর রাজনীতিবীদদের প্রশ্ন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে নবীন কর্মীদের নিয়ে এতটা মাতামাতি হল আজ তাঁরা ফের কেন হারিয়ে গেল? চেয়ারম্যানে পদে আর বসবেন না বলেও সেই বিমান বসুই বহাল রইলেন। নবীনদের রাজনীতিকে আবারও সেই ‘সাদা চুলের’ রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়া। যার ফলাফল হয় তো আগামী দিনে ক্ষতিকর হতে পারে বঙ্গ বামের ক্ষেত্রে।’




Leave a Reply

Back to top button