Dilip Ghosh: কাঁচা বাঁশ কেটে রেখেছে বিজেপি, হুমকি বিজেপি নেতার

রবিবার গোটা রাজ্য জুড়ে ১০৮ টি পুরসভার ভোট। তার আগেই আবার মুখ খুলে বসলেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিতর্কিত মন্তব্যে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন ‘আমরা জানি আমাদের নিজেদের জোরে ভোট করতে হবে। তার প্রস্তুতি চলছে। কাঁচা বাঁশ কেটে রেখেছে আমাদের লোকেরা। দরকার হলে সেটা ব্যবহার করব।’ পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূলও।

আরও পড়ুন: মুখ পুড়েছে মাদককাণ্ডে , সম্মান বাঁচাতে নয়া অবতারে বাদশাপুত্র আরিয়ান

 

স্বমহিমায় Dilip Ghosh

 

পুরভোটে প্রচার ও প্রস্তুতি সারা রাজ্য জুড়েই চলছে জোর কদমে। এইদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পুরসভায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে করা জনসভায় গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। প্রচারের পরে সেখানের স্থানীয় চা চক্রেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এই কথা বলেছেন তিনি। তার এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

 

তার কথায় “মেয়াদ শেষের আগেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। আদি বিজেপির বড় অংশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মনে ক্ষোভ জমছে নব্যদের প্রতি। ওঁদের লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে নয়, নিজেদের মধ্যেই হওয়া উচিত। তাই যত লাঠি, বাঁশ, গালমন্দ, যা যা তৈরি রেখেছেন তা সব দলের নেতাদের জন্যই। আমাদের জন্য না।” এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্যে বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত কাম্য বলে মনে করেছে তৃণমূল দল।

উল্লেখ্য, গত বছর এ রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে হারের পর এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। মেদিনীপুরের সাংসদ ছিলেন তিনি, আছেন এখনও। সভাপতি থাকাকালীন তার বিতর্কিত মন্তব্য জনমানষ ও রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট জলঘোলা করেছে। তবে আবার একবার প্রমাণিত হয়ে গেল বদলাননি দিলীপবাবু, কারণ বিতর্কই তাঁর প্রতীক।

আরও পড়ুন: বাসন না মাজায় বকুনি, রাগের মাথায় ফ্রাইং প্যান দিয়ে মাথা থেতলে মাকে খুন কিশোরীর

বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি ড. সুকান্ত কুমার মজুমদার তাঁর মন্তব্য নিয়ে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু এই ধরনের উত্তপ্ত মন্তব্য জনগণ ও রাজনৈতিক মহলে সাময়িক বিনোদনের সৃষ্টি করলেও দিনের শেষে বর্তমানের তা ভোটের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয়ে হয়তো অবহিত তাঁরা।

 

এবারের নির্বাচনেও তাই বিজেপির জন্য ভালো ফলের আশা রাখছে না কোন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা ও বিজেপি তথা বিরোধীদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও নেতৃত্বের অভাব হয়তো আবারও জয়ের রাস্তায় নিয়ে আসবে মুখ্যমন্ত্রীর দলকে।




Leave a Reply

Back to top button