যাদবপুরের পর টনক নড়েছে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর, বর্ধমানে বসছে সিসিটিভি, নতুন পড়ুয়াদের রাখা হবে অন্য হস্টেলে

রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের হোস্টেলগুলোতে কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পড়ুয়ারা থেকে যায়। বহিরাগতদের হস্টেলে ঢোকার এমনকি সেখানে রাত্রি যাপনের অভিযোগ তা আছেই।

শুভঙ্কর, বর্ধমান: গত সপ্তাহের বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। প্রতিদিনই রাজ্য রাজনীতির কেউ না কেউ মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কিছুটা হলেও টনক নড়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশকে যেমন সিসিটিভির আয়তায় আনা হচ্ছে ঠিক তেমন ভাবেই রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সিসিটিভির ব্যবহার বাড়ছে। ক্যাম্পাস ও হস্টেলে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু সিসিটিভি নয় নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করেছে তারা।

রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের হোস্টেলগুলোতে কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পড়ুয়ারা থেকে যায়। বহিরাগতদের হস্টেলে ঢোকার এমনকি সেখানে রাত্রি যাপনের অভিযোগ তা আছেই। এবার সেদিকেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে বর্ধমান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। বহিরাগতদের রুখতে হস্টেলের ঘরগুলির নাম্বারিং করা হবে। কাদের নামে রুম দেওয়া হচ্ছে তার তালিকা তৈরি করবে হস্টেল কর্তৃপক্ষ। হস্টেল বোর্ডে সেই তালিকা থাকার সঙ্গে সঙ্গে হস্টেল সুপার, হস্টেল স্টুয়ার্ড, নিরাপত্তারক্ষীদের কাছেও নামের তালিকা দেওয়া থাকবে। কড়াভাবে রেজিস্টার মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। হোস্টেলের পড়ুয়ারা ছাড়া অন্য কে কে হোস্টেলে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে তার তালিকা নথিবদ্ধ করে রাখতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বৈঠকে বসে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। যাদবপুরের মত ঘটনা যাতে বর্ধমানে না হয় সেই বিষয় নিয়েই পদক্ষেপ নিতে বৈঠক ডাকেন সহ উপাচার্য। দুই ডিন, রেজিস্ট্রার, অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বসেন সহ-উপাচার্য আশিস পাণিগ্রাহী। ছিলেন হস্টেলের সুপার ও স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের অফিসাররাও।

Burdwan University,Jadavpur University,hostel,anti ragging

বৈঠকের পর সহ-উপাচার্য আশিস পাণিগ্রাহী বলেন, “আমরা হস্টেলগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। সেরকম ঘটনার কোনও খবর আমাদের কানে আসেনি। বহিরাগতরা এসে থাকেন বলে লিখিত কোনও রিপোর্ট নেই। তবে যাদবপুরের ঘটনার পর আরও ভালভাবে হস্টেল পরিচালনার জন্য আমরা বৈঠক করেছি। সিসিটিভির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। অন্তত হস্টেলের প্রবেশ ও বেরোনোর পথে যদি তা বসানো যায় তার নিয়ে কথা এগিয়েছে। আর প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা হস্টেলে রাখার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াড নিয়ে আগামী সোমবার আবার বৈঠকে বসব আমরা”।




Leave a Reply

Back to top button