Chop shilpo: “এগিয়ে বাংলা! মুখ্যমন্ত্রীর চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা করে বসলেন এই বঙ্গতনয়া”

সৌম চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা! ভাবা যায়। কালকে এই গবেষণা পত্র প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে হাসির রোল। কেউ বিশ্বাস করতেই পারছেন না চপ শিল্প গবেষণা পত্রের বিষয় হতে পারে। যিনি পত্রের রূপকার তাকেও শুনতে হচ্ছে ঠাট্টা তামাশা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর চতুর্থ সেমেস্টারের ছাত্রী কনা সরকার ‘আর্বান জিওগ্রাফি’-তে চপ শিল্প বিষয়ে গবেষনা করেন। তবে ছাত্রীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন ভূগোলের অধ্যাপক ড. তাপস পাল। তিনিই ছিলেন এই গবেষণার পথপ্রদর্শক।
ছাত্রীকে কৌতুকের শিকার হতে দেখে ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, ছাত্রী নির্দোষ। তিনি ছাত্রীকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। এমনকি চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা কোনো দোষের বিষয় নয় বলে তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ের উৎস হিসেবে চপ শিল্পের হদিশ দিয়েছিলেন। এক জনৈক নেতা জানিয়েছিলেন চপ শিল্পের মাধ্যমে মাসে ১৫ হাজার রোজগার হতে পারে। এবার আর কৌতুকের বিষয় নয়। গবেষণায় খুঁটিয়ে দেখা হল অঞ্চল ভিত্তিতে কয়জন মহিলা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত? তাদের আয় বা কত?
আর গবেষণায় পাওয়া গেল অবাক করা তথ্য। গড়ে মাসিক ৯ হাজার টাকা লাভ করেন মহিলারা। এমনকী ভালো বিক্রি হলে ১৫ হাজার অবধি রোজগার হতে পারে। যা একজন গ্রাম্য পুরুষের রোজগারের চেয়ে সামান্য কম। গবেষণাটি করা হয়েছে মালদার গাজল ১, ২ এবং করকোচ গ্রামে। অধ্যাপক জানান,২০১৮ সালের এক গবেষকের গবেষণায় দেখা গেছে দেশে ৮৩ শতাংশ আন অর্গানাইজড ইকোনমিক সেক্টর এবং ১৭ শতাংশ অর্গানাইড ইকনোমিক সেক্টর রয়েছে। তিনি আরও বলেন,আগেই সেলুন, ঠেলাওয়ালাদের উপরেও গবেষণা হয়েছে সেটা মানুষের চোখে পড়ে নি। প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে গবেষণা এই প্রথম হচ্ছে না।
এরপরই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, KFC খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা যখন চপ বিক্রি করে তখন সমালোচনা হয় না। দরিদ্র মানুষের পেশাকে ছোট করা হচ্ছে। তবে “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা” কথাটি মূল গবেষণাপত্রে ছিল না বলে দাবি করেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত গবেষণা পত্রে যে যা খুশি রাখতে পারে, তার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। তবে তিনি এও মনে করিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তাই অনুপ্রেরণার বিষয়ে লিখলেও ক্ষতি নেই।