বিপুল ছাপা হচ্ছে বুদ্ধবাবুর দুটি বই, দুর্গাপুজোয় সিপিএমের ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি…’
তাঁর কাঁধে চেপেই হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে চাইছে সিপিএম। তাই শারদীয়ায় বুদ্ধবাবুর দুটো পুরনো বই-ই ফের ছাপানো হচ্ছে বিপুল সংখ্যায়।

বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি।
না গৌতম বুদ্ধ নয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথা হচ্ছে। তাঁর কাঁধে চেপেই হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে চাইছে সিপিএম। তাই শারদীয়ায় বুদ্ধবাবুর দুটো পুরনো বই-ই ফের ছাপানো হচ্ছে বিপুল সংখ্যায়। দুর্গাপুজোর মাস দেড়েক আগে থাকতেই জোরকদমে সেই কাজ শুরু করে দিল সিপিএমের দলীয় প্রকাশনা সংস্থা ন্যাশনাল বুক এজেন্সি।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ। চলচ্ছক্তিহীন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত মাসেই ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে। এখন বাড়িতে থাকলেও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন। কার্যত গৃহবন্দি। শরীর অশক্ত। দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীন। কিন্তু সিপিএম যে এখনও তাঁর উপরেই বাজি ধরছে, সেটা পরিস্কার।
২০১৮ সাল থেকেই অসুস্থ বুদ্ধদেব। সেই বছরই প্রকাশিত হয়েছিল ‘নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু’। এই বইয়ে হিটলারের উত্থান ও পতন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বুদ্ধবাবু। তার পরের বছর প্রকাশিত হয়, ‘স্বর্গের নীচে মহা বিশৃঙ্খলা’। চিনা বিপ্লব নিয়ে লিখেছিলেন এই বইতে। দুটি বই হইহই করে বিক্রি হয়েছিল বামমহলে।
এ বছর এই দুটি বইই নতুন করে ছাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিএ। প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ওই দুটি বইয়ের এ বছরও বিপুল চাহিদা থাকবে। তাই আমরা বই দু’টির পুনর্মুদ্রণ করছি’। তবে কত কপি ছাপানো হচ্ছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অনিরুদ্ধবাবু। সিপিএম সূত্রে খবর, দুটি বই মিলিয়ে ৩৫ হাজারের বেশি কপি ছাপা হবে।
পুজো মণ্ডপের পাশে প্রতি বছরই বইয়ের স্টল দেয় সিপিএম। লাল কাপড়ে মোড়া স্টল। সেখানে মার্ক্স, লেনিন, মাও, স্ট্যালিনদের ‘গৌরবগাথা’ নিয়ে লিখিত বই বিক্রি হয়। এ বছর সেই স্টল থেকে বিক্রি হবে বুদ্ধবাবুর বইদুটিও। প্রায় ৭০০ স্টল দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বামেরা। প্রতিটা স্টলেই বুদ্ধবাবুর বই থাকবে।