এ যেন জল-যুদ্ধ! জল সংযোগ নিয়েই বচসা কেন্দ্র-রাজ্যের

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: কথায় আছে জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া পৃথিবীর কোনো জীবই বাঁচতে পারে না। পৃথিবীর তিন ভাগ জল থাকা সত্তেও, বর্তমান যুগে মানুষকে পানিয় জল কিনে খেতে হয় ( Drinking Water In Rural Area )। আবার এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মানুষ জলের জন্য করছে হাহাকার। তাই জলের সংকট মেটাতে পশ্চিমবঙ্গে চালু করা হয়েছিল ঘরে ঘরে জল সংযোগ প্রকল্প। আর এই প্রকল্প শুরু হতে না হতেই শুরু হয়েছে জল ঘোলা।
পানীয় জলের সংযোগ প্রকল্প শুরু হতে না হতেই শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে পরস্পরের প্রতি তথ্য-পরিসংখ্যান ছুড়াছুড়ি। এই বির্তক নিয়ে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বলেছেন, গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গে মাত্র কুড়ি শতাংশ ঘরে পানীয় জলের ( Drinking Water In Rural Area ) পাইপ পৌঁছেছে। গ্রামে নলবাহিত জলের সুবিধা পৌঁছানোর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ এখনো দেশের পশ্চাৎপদ রাজ্যে অবস্থান করছে। অন্যদিকে আবার রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় দাবি করছেন, গত এক বছরে এই রাজ্য একুশ লক্ষ গ্রামীণ বাড়ি গুলিতে নলবাহিত জলের ব্যবস্থা পৌঁছেছে, যা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বাধিক।
জনগণনা অনুসারে গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গে এক কোটি এগারো লক্ষ বাড়ি আছে, তার মধ্যে কুড়ি শতাংশ ধরে হিসাব করলে সংখ্যাটি একুশ লক্ষের কিছু বেশি হবে। প্রায় অনেক দিন ধরেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার জোর দিয়াছে টিউবওয়েল খননের উপর। সেইগুলিই গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ( Drinking Water In Rural Area ) প্রধান উৎস ছিল। আর কিছুটা সেই কারনেই গ্রামীণ পঞ্চায়েতগুলিতে পাইপবাহিত জল সরবরাহ কখনই তেমন গুরুত্ব পায়নি। ফলে দেশের অন্যত্র পাইপবাহিত জলের প্রকল্প প্রচলিত থাকলেও, বাংলায় মাত্র এক শতাংশ গ্রামীণ বাড়িতেই এই ব্যবস্থা পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন – রঙ্গ বেরঙ্গের ফুলে সেজে উঠেছে গুগল ডুডল, গুগুলের নতুন সজ্জা মন কেড়েছে ব্যবহারকারীদের
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, হুগলির পূর্ববর্তী জেলাগুলিতে ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণ বিপুল। কিছু জেলায় ফ্লোরাইড দূষণও মিলিয়াছে ব্যাপক পরিমানে। একই সঙ্গে নামছে ভূগর্ভের জলস্তর, তাই বাড়ছে টিউবওয়েলের গভীরতা, এবং বাড়ছে খরচ। সবথেকে বর ব্যাপার গ্রামে জল আনতে প্রায় কয়েক মাইল হেঁটে একটা মেয়েকে আনতে হয় পানিয় জল। যদিও এত বির্তকের মধ্যে এসব বিষয় ভাবার বা হিসেব করার সময় নেই কারই। এত সমস্যার মধ্যেও কী কোনো ব্যাবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার? শুধু রাজ্য সরকার কেন একই প্রশ্ন কেন্দ্র সকারকেও। কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রী জানিয়েছেন নাম বদল হলে দেবেন না টাকা।
আরও পড়ুন – ভুলতে পারেননি ছেলের মৃত্যু শোক, নিজেই সিলিকন মূর্তি গড়লেন মা