পাহাড়ের কোলে ফুটেছে কাশফুল, দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু শুশুনিয়ার ছাতনায়
শুধু চমকেই শেষ নেই পুরস্কারও পান তারা। এই তিনটি থিমেই রাজ্য সরকার দ্বারা আয়োজিত বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে আনেন এই দুর্গ উৎসব কমিটি।

শুভঙ্কর, বাঁকুড়া: নদীর ধারে কাশফুলের সারি। আকাশে পেঁজা তুলোর মত মেঘ। মিঠে রোদ্দুর, গাছের পাতার অবিরাম দোলাদুলি। এই সবই জানান দিচ্ছে পুজো এসে গেছে। পুজো মানেই বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো। মায়ের আগমনের জন্য মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। প্রতিমা শিল্পী থেকে প্যান্ডেলের সঙ্গে যুক্ত সকলে এবং ক্লাব কর্তাদের এখন ঘুম উড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। বছর ফিরে মা আসছেন ঘরে। কোনও রাখতে চাইছেন না বিভিন্ন সর্বজনীন পুজোগুলো। এবার শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলেও ফুটল কাশফুল। ছাতনায় খুঁটি পূজার মাধ্যমে শুরু হল দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি।
বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া পুরুলিয়া রোডের পাশে অবস্থিত ছাতনা। সেই শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছে শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। এবার তাদের পুজো পড়ল ১৫তে। সম্প্রতি সেখানকার মন্ডপ তৈরি করার জন্য খুঁটিপুজো হয়ে গেল। প্রতিবছরদের মতোই এই বছর ক্লাব কর্তাদের ধারণায় রয়েছে থিম। তারা জানাচ্ছেন এই বছর তাঁদের মণ্ডপ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে, পরিবেশবান্ধব সামগ্রী। বাঁশ, মাটি, খড়, সুতলি, খবরের কাগজ দিয়েই তৈরি হবে তাদের পুরো মন্ডপ। চতুর্থীর দিনে পূজা মন্ডপের উদ্বোধন করা হবে। সেদিন থেকেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে ক্লাবের তরফ থেকে। যেহেতু পুজোর আর বাকি মাত্র ক’টা দিন। তাই ঘুম খাওয়া-দাওয়া সবই উড়ে গেছে তাদের।
থিমের মন্ডপ বানিয়ে চমক দেওয়া এই বছরই শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গো উৎসব সমিতির প্রথম কাজ নয়। এর আগেও বিভিন্ন বার নতুনত্ব ভাবনা নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে তারা। ২০১৯ সালে তাদের থিম ‘গ্রাম্যজীবন’। ২০২১ সালে তারা ‘বৃদ্ধাশ্রম’ থিম নিয়ে সকলের সামনে আসেন। গত বছর তাদের ‘মাতৃঋণ’ চমকে দেয় সকলকে। শুধু চমকেই শেষ নেই পুরস্কারও পান তারা। এই তিনটি থিমেই রাজ্য সরকার দ্বারা আয়োজিত বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে আনেন এই দুর্গ উৎসব কমিটি। স্বাভাবিকভাবেই এই বছরে তারা কেমন করবে তা নিয়ে সকলের মনে আগ্রহ জেগেছে।