বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের গরুমারায় হাতি পুজো, ভিড় জমালেন উৎসাহী পর্যটকরা
গরুমারার পিলখানায় প্রতিবছরই এমন মহাসামারহে হাতি পুজো করা হয়ে থাকে। আজকের সকালে এই পুজো উপলক্ষে মাহুতদের চরম ব্যস্ততা ছিল। তারা প্রথমে হাতিগুলিকে মূর্তি নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে নিয়ে আসা হয় পিলখানায়।

শুভঙ্কর, উত্তরবঙ্গ: আজ বিশ্বকর্মা পুজো। রাজ্য সহ দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো। তবে বিশ্বকর্মার বাহন কে তো জানেনই! আজ এই দিনটাতে ‘বিশ্বকর্মা’ ছাড়া গজরাজেরও পুজো করা হয়। তাই বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের গরুমারা অভয়ারণ্যে আজ ধুমধাম করে পুজো করা হল গজরাজকে। এই পুজোয় বনকর্মীদের পাশাপাশি বনবস্তির বাসিন্দা ও সেখানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি হয় মেটালি ব্লকের ধুপঝোরা বিট অফিসের গাছবাড়িতে। এখানে রয়েছে যুবরাজ, হিলারি, জেমি, বর্ষণ, কিরণরাজ, রামি নামের হাতি। আজ তাদেরকেই মালা পরিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পূজা করা হয়।
গরুমারার পিলখানায় প্রতিবছরই এমন মহাসামারহে হাতি পুজো করা হয়ে থাকে। আজকের সকালে এই পুজো উপলক্ষে মাহুতদের চরম ব্যস্ততা ছিল। তারা প্রথমে হাতিগুলিকে মূর্তি নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে নিয়ে আসা হয় পিলখানায়। সেখানেই তাদের গায়ে সুন্দরভাবে নকশা এঁকে দেওয়া হয়। এবং তাদের নামও লিখে দেওয়া হয়। তাদের পুজোর জন্য পুরো তৈরি করার পরেই তাদেরকে নিয়ে আসা হয় পূজা মন্ডপে। শঙ্খ ধ্বনি, উলুধ্বনির মাধ্যমে তাদেরকে পূজো করা হয়। এই পুজো দেখার জন্য গাছবাড়িতে ভিড় জমান অনেকে পর্যটক।
বর্ষার জন্য প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল গুলোকে ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত বর্ষাকাল বেশিরভাগ বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়। সেই জন্য তাদের যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে তাই পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয় জঙ্গল। ফের জঙ্গলের দরজা খুলে যাওয়ার ফলে খুশি পর্যটকরা। এবছর উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে ঘুরতে বেশি অর্থ খরচ হলেও বহু মানুষ ইতিমধ্যেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন সেখানে। তবে মানুষ ও হাতির মধ্যে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাই সেই সংঘর্ষ কমানোর জন্য রাখি পূর্ণিমার দিনও তাদেরকে রাখি পরানো হয়েছিল। সেই রাখি পরানোর উদ্দেশ্য একটাই ছিল। মানুষের সাথে তাদের মেলবন্ধন সঠিক করা।