Anis Khan: ‘লাশ চুরি হয়ে যাবে না তো!’, মৃত্যু নিয়ে থামছে না জলঘোলা

ছাত্রনেতা আনিস খানের ( Anis Khan ) মৃত্যুকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য ও হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। তার মৃত্যুর রহস্যের তদন্তে এই দুই পুলিশকর্মীর গ্রেপ্তারের পরেই জেগে উঠেছে সন্দেহ। আনিস খানের ( Anis Khan ) লাশ চুরি হয়ে যেতে পারে এমনই আশঙ্কা আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর। প্রয়োজনে তার লাশ কবর থেকে তুলে এনে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করবার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: কাঁচা বাঁশ কেটে রেখেছে বিজেপি, হুমকি বিজেপি নেতার

“বোঝা যাচ্ছে লাশের গুরুত্ব এখনও বর্তমান। অথচ সেই লাশ কোন নজরদারি নিরাপত্তা ছাড়াই রয়েছে কবরে! এখনও এত গাফিলতির কারণ কী?” বলেন তিনি। মৃত্যুর পর রহস্যের সমাধানের তদন্তভার সিটের হাতে যাওয়ার দিন দুয়েকের মধ্যেই দুই পুলিশকর্মীর এই গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক এবং সামাজিক মহলে যথেষ্ট বড় আলোড়ন তৈরি করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

 

Anis Khan: মৃত্যু রহস্য

 

কিন্তু এও প্রশ্ন উঠছে যে দুই নিচুস্তরের পুলিশকর্মীর পিছনে আসলে কে আছে? কার নির্দেশে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল তারা? এদের মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিশের আরো বড়ো কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাঘব বোয়াল করা হচ্ছে না তো? এমনই সব প্রশ্ন উঠে আসছে জনগণের একাংশের কাছ থেকে। একই ইস্যুতে এদিন এই ব্যাপারে সওয়াল করেছেন ধৃত হোম গার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রীও।

 

এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে আর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত কি করা হবে আনিস খানের মৃতদেহের? ইতিমধ্যেই সিট সে বিষয়ে যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছে। আনিস খানের বাড়িতে গিয়ে তার বাবার কাছেও এই আর্জির কথা জানিয়েছে তারা। যদিও তিনি এখন ছেলের অকাল মৃত্যুর শোক ও অসুস্থতার কারণে বিছানায় শয্যাশায়ী। কিন্তু দ্বিতীয়বারে ছেলের মৃতদেহের এখন ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হননি বৃদ্ধ।

Anis Khan

সিবিআই আসা অব্দি অপেক্ষা করবেন এবং তাদের মাধ্যমেই করা হবে ছেলের দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্ত এটাই ইচ্ছা আনিসের বাবার। আনিসের ( Anis Khan ) দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় আমতা থানায় খুনের অভিযোগ ও তদন্তের অনুরোধ দায়ের করেছিল তার পরিবার। তবে প্রথম থেকেই মৃত্যুর রহস্য সমাধানের তদন্তে পুলিশের অসহযোগিতার দাবি তুলেছে তার পরিবার। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

 

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কারচুপি করা হচ্ছে বলে পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন আনিসের ( Anis Khan ) বাবা-দাদা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিতর্ক মেটানোর জন্য সিটের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই মৃত্যু রহস্যের তদন্তের দায়িত্বভার। পুলিশ যে তদন্তে সঠিকভাবে সহযোগিতা করছে না এবং বাধার সৃষ্টি করছে সে ব্যাপারেও সরব হয়েছে সিট ও মৃতের পরিবার। পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, “যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টা সকলের সামনে তুলে ধরব।”

আরও পড়ুন: মুখ পুড়েছে মাদককাণ্ডে , সম্মান বাঁচাতে নয়া অবতারে বাদশাপুত্র আরিয়ান

সিটের হাতে মৃতের মোবাইল ফোন তুলে না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাই এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন পুলিশের রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে এবং তারা চেষ্টা চালাচ্ছে উঁচু মহলের কোন বিশেষ ব্যক্তির নাম যাতে না জড়িয়ে পড়ে এই খুন ও তার রহস্যের তদন্তের সঙ্গে। আনিস কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতো সেই নীরবতা বজায় থেকেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে। তৃণমূল ও আইএসএফ উভয়ই তাকে নিজেদের সদস্য ও কর্মী বলে দাবি করেছে। যদিও এই বিবাদের নিষ্পত্তি হয়নি এখনও তাই বজায় থেকেছে বিবাদ ও বচসা।

 




Leave a Reply

Back to top button