পুলিশ সুপারের আদরের ছাগল চুরি , শোরগোল পড়ল পুলিশ মহলে
১৪ই আগস্ট এই ছাগলকে নিয়ে একটি এফআইআর করা হয় তমলুক থানায়

শুভঙ্কর, তমলুক: ছাগলকে পোষ মানাতে সকলেই পারে, সে হতে পারে সাধারণ মানুষ কিংবা পুলিশ। এছাড়াও ছাগল অনেক সময় চুরিও যায়। সাধারণ মানুষের ছাগল চুরি হলে দায়সারা ভাবেই সেই তদন্ত বা খোঁজা হয়। কিন্তু খোদ পুলিশ কর্তার যদি ছাগল চুরি হয় তাহলে সেটা আর দায়সারা ভাবে করা যায় না। এবার এমনই একটা ঘটনার এফআইআর হল তমলুক থানায়। পুলিশের নাকের ডগা থেকে ছাগল চুরি হয়েছে। হৃষ্টপুষ্ট একটা ছাগল পুলিশের ব্যারাক থেকে যে কখনও চুরি হতে পারে সেটা হয়তো কেউই কল্পনা করতেই পারেনি। তবে এই ঘটনার পর জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হেড কোয়াটারে পোষা হচ্ছিল একটি ছাগল। কিন্তু সেটা হঠাৎই চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়েছে এনভিএফ ব্যারাক থেকে। এনভিএফ কর্তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে। কিন্তু এখনও সেই ছাগল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এখন শোরগোল পড়ে গেছে পুলিশ মহলে। কিন্তু পুলিশ চোরকে ধরতে পারেনি। ১৪ই আগস্ট এই ছাগলকে নিয়ে একটি এফআইআর করা হয় তমলুক থানায়। এফআইআর করেন ব্যারাকের ডিউটিরত এনভিএফ কর্মী মেঘনাদ জানা। এফআইআর পাওয়ার পর তমলুক থানার পুলিশ জোর কদমে ছাগল খোঁজার চেষ্টা চালায়। কিন্তু এখনও তারা ছাগলটিকে খুঁজে পায়নি।
ছাগলটির আসল মালিক পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ এমএম হাসান। কিন্তু ছাগলটার দেখাশোনা করত মেঘনাথ জানা। এনভিএফ কর্মী মেঘনাথ গত ৩০ তারিখে নিমতৌড়ির পুলিশ লাইনের যান। সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখে ছাগলটি নেই। তারপর সে এদিক-ওদিক খোঁজে এবং সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেননি। খোঁজাখুঁজির পর যখন পাওয়া যায়নি তখন বোঝাই যায় যে ছাগলটি হারিয়ে যায়নি কেউ চুরি করেছেন। এনভিএফ কর্মী মেঘনাথ জানা তমলুক থানার পুলিশকে জানান, ‘ প্রায় আড়াই বছর ধরে কর্তার ছাগলটি এখানেই ছিল। সকালে সে নিজের মতো ঘুরে বেড়াত। আবার সন্ধ্যাবেলা, ঠিক ব্যারাকে ফিরে আসত। তবে যেদিন হারিয়েছে সেদিন ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল এবং বিদ্যুৎ ছিল না। তাই ভেবেছিলাম সে হয়তো পথ চিনতে পারেনি। তাই আমরা সবাই মিলে এদিক-ওদিক তন্ন তন্ন করে খুঁজি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুঁজে না পেয়ে আমি থানায় অভিযোগ করি।’