রবিহীন বিশ্বভারতী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন রাজ্যপাল
এই বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রের কাছে নালিশ করবেন বলে জানা গিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর হিসেবে তিনি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জবাব তলব করেছেন।

বীরভূম: ইউনেস্কোর থেকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ তকমা পাওয়া বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলকে প্রতিষ্ঠাতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকাকে ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পলক থেকে নাম সরানোর জন্য সময় বেধে দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষকে। অন্যদিকে, আজ ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফেরানোর দাবিতে বোলপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নেতৃত্বে বিশ্বভারতীর সামনে ধর্ণা মঞ্চ বাঁধে তৃণমূল। এই ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া, অধ্যাপকদের একাংশ। জানা গিয়েছে, আজ এই ধর্ণা চলে ঘন্টা দুয়েক মতো। তবে আগামীকাল থেকে ফের শুরু হবে বিক্ষোভ।
তবে এই বিতর্কের মাঝে এবার পা ফেললেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই কীর্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল এবং উপাচার্যের এই কাজে তিনি একেবারেই খুশি হননি। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রের কাছে নালিশ করবেন বলেও জানা গিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর হিসেবে তিনি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জবাব তলব করেছেন। যদিও বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদনের জন্য গিয়েছে নতুন ফলক এবং অনুমোদন নিয়ে ফিরলেই নতুন ফলক বসানো হবে৷
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অত্যাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম থাকায় ক্ষোভ উগড়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিন্দা শুধু তাঁর তরফ থেকেই নয়, আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপকদের একাংশ থেকেও। পাশাপাশি এই কীর্তি নিন্দা করেছেন রবি ঠাকুর প্রেমীরাও। এই সম্বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বৃহস্পতিবার জানান, “আজ বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন, এসব হেরিটেজ তকমা পেয়েছে কি কারনে? কার জন্যে? আজ এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য। আর আজ তাঁকেই অপমান করা হচ্ছে। তাঁরই নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতদিন পূজো ছিল বলে আমি কিছু বলিনি। তবে কালকের মধ্যে যদি এর বিহিত না হয়। যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফেরানো না হয়, তাহলে আমাদের দল বুকে রবি ঠাকুরের ছবি নিয়ে আন্দোলন করবে।”