ঘূর্ণাবর্ত-অক্ষরেখার জোড়া ফলা, টানা দুদিন কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে তুমুল বৃষ্টি
হিমালয়ের পাদদেশে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। পাশাপাশি বাংলাদেশের উপর তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত।

সকাল থেকেই চড়া রোদ। রীতিমতো ঘাম দিচ্ছে। তবে এমন আবহাওয়া ক্ষণিকের। হিমালয়ের পাদদেশে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। পাশাপাশি বাংলাদেশের উপর তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। দুইয়ের জোড়াফলায় বাংলার ভাগ্যাকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মেঘ। আজ, বুধবার থেকেই তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি আরও বাড়বে।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূল এলাকায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিন ২৪ পরগণাতেও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কলকাতাতেও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে।
বৃষ্টির কারণে বুধ এবং বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। এদিন সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৭১ থেকে ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ২২.৬ মিলিমিটার। শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গেও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। রবিবার থেকে ফের ভারি বৃষ্টি হবে উত্তরের একাধিক জেলায়।
হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় মৌসুমি অক্ষরেখা অবস্থান করছে। গোরখপুর, পাটনা হয়ে তা কোচবিহারের উপর দিয়ে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। অন্যদিকে বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে। এই দুয়ের প্রভাবেই গোটা রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই এই ক’দিন বাড়ি থেকে বেরলে কাছে ছাতা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।