এগিয়ে বাংলার মেয়ে! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো নম্বর নিয়ে প্রথম কোচবিহারের ছাত্রী

করোনা মহামারির আগমনের পর থেকেই পরিবর্তন হয়েছিল শিক্ষার ধারা। অফলাইন শিক্ষাব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তির জোয়ারে ভেসে পরিণত হয়েছিল অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায়। হাতের ছোট্ট ফোনটির মধ্যেই আটকে গিয়েছিল ছেলেবেলা। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। গতবছর করোনা পরিস্থিতির জেরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। পূর্ববর্তী বছরের নম্বরের ভিত্তিতেই নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু এই বছর পরিস্থিতি আলাদা। মোটামুটি ভাবে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হলেও, পরীক্ষা হয়েছে অফলাইন পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষারই ফলাফল আপাতত সামনে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষা শেষের ৪৪ দিনের মাথায় হল ফল প্রকাশ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ইতিহাসে এ বছর প্রথম পরীক্ষা হয়েছিল পড়ুয়াদের হোম সেন্টারে। নিজেদের চেনা পরিবেশেই পরীক্ষা দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। আর আজকে পরীক্ষা শেষের ৪৪ দিন পর প্রকাশ হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জিব ভট্টাচার্যের উদ্দ্যোগে সাংবাদিক সম্মলনের মধ্যে দিয়ে এদিন প্রকাশিত হল ফলাফল। এদিন সংসদ সভাপতি তরফে জানা গিয়েছে, এবারে মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬২ পড়ুয়া। যার মধ্যে মোট পাশ করেছেন ৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৭৫ পড়ুয়া। পাশের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। কোনও অসম্পূর্ণ ফল নেই। ৭ জেলা জুড়ে পড়ুয়াদের পাশের হার ৯০ শতাংশ। যার মধ্যে তালিকায় শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর।
উল্লেখ্য উচ্চ মাধ্যমিক ২০২২-এর ফলাফল অনুযায়ী, এই বছর প্রথম স্থান অধিকার করেছেন একজন পড়ুয়া। তাঁর নাম অদীশা দেবশর্মা, দিনহাটা, কোচবিহারের। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮ নম্বর। শতাংশের নিরিখে ৯৯.৬ শতাংশ। অপরদিকে, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সায়নদীপ সামন্ত। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪ শতাংশ। এ বছর পরীক্ষার্থী হিসাবে ছাত্রদের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ছাত্রীদের সংখ্যা। মোট ৬৫ হাজার ৪৮৬ জন বেশি ছাত্রী বসেছিল পরীক্ষায়। সংসদ সভাপতির মতে, কন্যাশ্রীর মতো জনস্বার্থ প্রকল্পগুলিরই ফলাফল এটি।