স্বামী হাওড়া পুরসভার কর্মী ছিলেন, বয়স ১০০ পেরতেই ডবল পেনশন কনকলতার
হাওড়ার বাসিন্দা কনকলতা ভট্টাচার্য। বয়স ১০০ বছর। তাঁর প্রয়াত স্বামী হাওড়া পুরসভার কর্মী ছিলেন। ফলে পেনশন পেতেন। কনকলতার বয়স ১০০ ছুঁতেই পেনশন ডবল করে দিল হাওড়া পুরনিগম।

হাওড়ার বাসিন্দা কনকলতা ভট্টাচার্য। বয়স ১০০ বছর। তাঁর প্রয়াত স্বামী হাওড়া পুরসভার কর্মী ছিলেন। ফলে পেনশন পেতেন। কনকলতার বয়স ১০০ ছুঁতেই পেনশন ডবল করে দিল হাওড়া পুরনিগম। এদিন ফুল, মিষ্টি নিয়ে তাঁকে দেখতে যান পুরসভার আধিকারিকরা। জানিয়ে আসেন, ডবল পেনশনের কথাও। হাওড়া জেলা-সহ গোটা রাজ্যে এমন ঘটনার নজির আর নেই।
সরকারি আইনে শতবর্ষ পার করলেই পেনশন দ্বিগুণ হয়ে যায়। কনকলতার ক্ষেত্রেও সেটাই করা হল। কনকলতা বর্তমানে আন্দুলের পাঁচপাড়া এলাকায় থাকেন। বয়স ১০০ পেরিয়েছে। একপ্রকার শয্যাশায়ীই বলা যায়। তাঁর স্বামী তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য হাওড়া পুরসভার মোটর বিভাগের কর্মী ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর থেকে পেনশন পেতেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী কনকলতা পেনশন পান।
শুক্রবার হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী, কন্ট্রোলার অফ ফাইন্যান্স অরুণাভ ঘোষ-সহ কয়েকজন আধিকারিক কনকলতাদেবীর বাড়ি যান। তাঁর হাতে তুলে দেন ফুল এবং মিষ্টি। তারপর পুরসভা সংক্রান্ত পেনশনের কাগজে টিপ সই নেন। সঙ্গে জানান, এদিন থেকে কনকলতাদেবীর ডবল পেনশন শুরু হল।
হাওড়া পুর নিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এই প্রথম কোন ব্যক্তি এই সুবিধা পেল। বলা চলে এর মাধ্যমে হাওড়া পৌর নিগমে ইতিহাস রচিত হল। এতদিন কনকলতা দেবী ৯ হাজার টাকার একটু বেশি ভাতা পেতেন। বর্তমানে সেই টাকা ডবল হল। এবার আঠারো হাজার মাসিক অবসরকালীন ভাতা পাবেন’।
৮০ বছরের বেশি বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের ‘সুপার পেনশন’ দেওয়া হয় বলে জানান পুরনিগমের আধিকারিকরা। কনকলতাদেবী এখন শয্যাশায়ী। কথা বলতে পারেন না। শুনতেও পান না। তবে বুঝতে পারেন সবই। এদিন ডবল পেনশনের কথা শুনে পুরসভার আধিকারিকদের আশীর্বাদের ভঙ্গীতে হাত তুলে বুঝিয়ে দেন, এই খবরে তিনিও খুশি।