কালিকাপুর গ্রামে দেখা গেলো প্রায় ১০ ফুট লম্বা কুমির

কালিকাপুর গ্রামে প্রায় ১০ ফুট লম্বা কুমির। অতি কষ্টে আনা হলো নিয়ন্ত্রণে।

শুভঙ্কর, পূর্ব বর্ধমান: ‘কুমির আতঙ্ক’ হোক কি ‘বাঘ আতঙ্ক’, এই শব্দগুলি কেমন একটা মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো শব্দ। এবার ভেবে দেখুন যারা বাস্তবে এর মুখোমুখি হয়েছে, তাদের মনের অবস্থাটা কি? কি গেছে তাদের উপর দিয়ে? আবার কথায় আছে “জলে কুমির ডাঙায় বাঘ”! কিন্তু বাস্তব চিত্র এবার হলো সম্পূর্ণ উল্টো। না বাঘকে জলে দেখা যায়নি, তবে কুমিরকে দেখা গিয়েছে ডাঙায়। ঘটনাটি আসলে কি? জানতে চান? তাহলে সরাসরি নিয়ে চলে যাই এই ‘কুমির আতঙ্ক’ এর গল্পে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কাছে অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর গ্রামে দেখা গেলো প্রায় ১০ ফুট লম্বা বিশাল একটি কুমির। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়ায় সংশ্লিষ্ট গ্রামে।

জানা গেছে, বুধবার ভোরবেলা এই কুমিরটিকে দেখতে পান এক একজন স্থানীয় বাসিন্দা। তার নাম অভিজিৎ হালদার। দ্রুত ছড়িয়ে যায় এই খবর। খবর পাওয়া মাত্রই একদিকে যেমন একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়, তেমনি এই বিশাল আকারের কুমিরটিকে দেখতে ভিড় জমান গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে যদিও বন দফতরকে খবর দেওয়া হলে, তারা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বলে রাখা ভালো, প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে বাঁশ, জাল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে কুমিরটিকে অতি কষ্টে নিয়ন্ত্রণে আনেন বন দফতরের কর্মীরা।

Crocodile,Burdwan,Forest Department,Rescue

গ্রামবাসীরা বলেন, “এই কুমির আতঙ্কের জন্য আমরা নদীতে নামতে ভয় পাচ্ছি। এমনকি এর জন্য মৎস্যজীবীরাও ভাগীরথী নদীতে মাছধরা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কাটোয়া বন দফতর কুমিরটিকে ধরে নিয়ে গেছে এতে কিছুটা হলেও আতঙ্ক কেটেছে।“ অন্যদিকে বন দফতরের এক কর্মী জানান, “কুমিরটি প্রায় দশ ফুট বা তার বেশি লম্বা হবে। খাবারের খোঁজে এখানে চলে এসেছিল। কুমিরটিকে আবার নদীতেই ছেড়ে দেওয়া হবে। কোন নদীতে ছাড়বো সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি।”




Leave a Reply

Back to top button