পকোড়া বিক্রেতার মেয়ে হলো আইএএস অফিসার

ইউপিএসসিতে ২০২১ সালে ৯৩তম স্থান অর্জন করেন দীপেশ

শুভঙ্কর, রাজস্থান: কিছু কথা বা কিছু বক্তব্য মহান ব্যক্তিদের আছে যা আজকের যুগে একবিংশ শতাব্দীতে একদমই সত্য। যেমন ইংরেজিতে ‘ফেলিউর ইস দ্য কি টু সাকসেস’,‘ইফ ইউ আর বর্ন পুওর ইটস নট ইউর ফল্ট বাট ইফ ইউ ডাই পুওর দেন ইটস ইউর ফল্ট’ বা হিন্দিতে সেই প্রচলিত মন্তব্য ‘সবর কা ফল মিঠা হোতা হে।’ একেবারেই তাই। চেষ্টা করতে থাকলে কি না সম্ভব এই যুগে। মনের মধ্যে ইচ্ছে বা স্বপ্নকে যদি সত্যি করার সাহস থাকে, তাহলে মানুষ জিতে নিতে পারে গোটা দুনিয়া। ঠিক এমনই কঠোর পরিশ্রম ও সাহসের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করলো এবং লক্ষ্যে পৌঁছলো এক পকোড়া বিক্রেতার কন্যা। সব বাধার সাথে লড়াই করে, বিশেষ করে দারিদ্রতার সাথে, পৌঁছলো নিজের লক্ষ্যে। কে সেই মহিলা? কি তার পরিচয়? কি এমন করলো সে? তাহলে শুনে নেওয়া যাক এই মহিলার সংঘর্ষের গল্প।

এই লড়াকু মহিলার নাম দীপেশ কুমারী। রাজস্থানের ভরতপুরের অটল বাঁধ এলাকার কাঁকরওয়ালি কুইয়ার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। বোর্ডে প্রথম পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন ৯৮% এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন ৮৯% নম্বর। এরপর যোধপুর কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইআইটি মুম্বাই থেকে এমটেক করেন তিনি। এরপরই জীবনের বড় পরীক্ষা ইউপিএসসিতে ২০২১ সালে ৯৩তম স্থান অর্জন করেন এবং একজন আইএএস হয়েছেন।

IAS,Rajasthan,UPSC,Examination

তাঁর পরিবারে সব মিলিয়ে সাতজন সদস্য। তাঁর বাবা গোবিন্দ গত ২৫ বছর ধরে পকোড়া বিক্রি করেন। গোবিন্দর বাকি সন্তনারাও দীপেশের মতো পড়াশোনায় মেধাবী। মেয়ে আইএএস হওয়ার পরও গোবিন্দ পকোড়া বিক্রি করা বন্ধ করেননি। গোবিন্দ মনে করেন যতই কেউ বড়লোক বা আর্থিকভাবে সচ্ছল হোক না কেন, কখনোই তার অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দীপেশের এই সাফল্য গোটা সমাজের কাছে হয়ে রইলো একটি উদাহরণ এবং অনুপ্রেরণা।




Leave a Reply

Back to top button