দিলীপ ঘোষ মন্ডপ উদ্বোধনের আগেই, পুড়ে ছাই মন্ডপ, রাজনৈতিক সংঘাত নাকি অন্তর্ঘাত উঠছে প্রশ্ন!
দিলীপ ঘোষের মন্ডপ উদ্বোধন করার আগে পুড়ে ছাই শ্যামা পূজোর মন্ডপ, নিশানায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ!

দিলীপ ঘোষ কালীপুজোর উদ্বোধন করার আগেই সেই প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এ কাজ দুষ্কৃতীদের বলে অভিযোগ। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কৃষ্ণগঞ্জ বাজারে গঞ্জস্টার ক্লাবের কালীপুজো। সেখানকার মণ্ডপেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাত ২টো থেকে আড়াইটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এরপর ক্লাবকর্তারা এসে দেখেন, আগুন জ্বলছে। সামনে রাখা জলের বালতি, ড্রাম দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। তারই প্রতিফলন এই ঘটনা। মূলত,রবিবার কালীপুজো। কলকাতার পাশাপাশি জেলার কালীপুজো মণ্ডপগুলিতেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মণ্ডপ উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কালীপুজোর মণ্ডপে বাঁধল বিপত্তি। ঘটে গেল বড় অঘটন। উদ্বোধনের আগেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল কালীপুজোর মণ্ডপ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই মণ্ডপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উদ্যোক্তাদের তরফে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের এই মণ্ডপ উদ্বোধনের কথা ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে চা়ঞ্চল্য।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কৃষ্ণগঞ্জ বাজারে গঞ্জস্টার ক্লাবের কালীপুজোর মণ্ডপ আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। পুজোকর্তারা জানান, মণ্ডপসজ্জা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। আলো, মাইক লাগানোও হয়ে গিয়েছে। রবিবার পুজো। শনিবারই দিলীপ ঘোষের তা উদ্বোধন করার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটে। ক্লাব সম্পাদক মৈনাক জানা বলেন, “এটা আমাদের বহুদিনের পুজো। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে কৃষ্ণগঞ্জ হাইস্কুলের পাশে বহুদিন ধরেই পুজো হয়। শনিবার দিলীপ ঘোষের আসার কথা আমাদের পুজো উদ্বোধনের জন্য। বৃহস্পতিবার রাতে দুষ্কৃতীরা জঘন্য কাজ করেছে। পুলিশের কাছে একটাই আবেদন, সঠিক তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দিক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কি না বুঝে নিতে হবে। কারণ দিলীপবাবু আসবেন, রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে করে থাকতে পারে। তবে আমাদের এভাবে দমানো যাবে না।”
অন্যদিকে,এর পিছনে ‘রাজনৈতিক শত্রুতা’ থাকতে পারে বলে দাবি। তৃণমূলের তরফে কটাক্ষ ছড়ানো হয়েছে, শুভেন্দুর জেলায় দিলীপ ঘোষকে দিয়ে মণ্ডপ উদ্বোধনের চেষ্টার ‘ফল ভুগতে হচ্ছে’ উদ্যোক্তাদের। তারা এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী বলে জানিয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের হাত থাকতে পারে ঘটনার পিছনে। তবে পুজোয় রাজনীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।