“মমতার পরে এবার মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষেক”, শীঘ্রই আসছে সেই মুহূর্ত, পূর্বাভাস কুণালের

তৃণমূলের(TMC) মধ্যে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পর দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলতে রয়েছে একজনই। সেই ব্যাক্তিটি হলেন দিল্লি ফেরত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। ইতিমধ্যে দলে তাঁকে ঘিরে একাধিক সমস্যা থাকলেও। সুপ্রিমোর নিজের ভরসাযোগ্য পাত্র বলতে রয়েছে অভিষেকই। আপাতত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে আসীন রয়েছেন তিনি। কিন্তু সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন থেকেও মমতার পরে তার আদেশই শুনে চলতে হয় সকল দলীয় কর্মীদের। এক কথায়, মমতার উত্তরাধিকার হওয়ার জেরে তাঁর বিরোধীতা করার সাহস পায় না কেউই।
তবে বিগত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি এসেছে কিছু বদল। তাঁকে কেন্দ্র করেই দলের অন্দরে গঠিত হয়েছে দু’টি পৃথক অলিন্দের। তবে সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে রাজি নন তৃণমূল(TMC) সুপ্রিমো। উল্লেখ্য, আগামী দিনে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী মুখ যে অভিষেক, এই বিষয়ে শিলমোহর না লেগে থাকলেও দলের অন্দরে আবহাওয়া থেকে তা স্পষ্ট। কিন্তু কবেই বা সেই পদে বসতে চলেছেন অভিষেক?-এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এত দিন জল ঘোলা থেকে থাকলেও, এদিন কুণাল ঘোষের বার্তায় কেটেছে সকল দ্বিমত।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) সোমবার জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে মানুষের হয়ে কাজ করছেন, মানুষের পাশে থাকছেন, তাতে এটা স্পষ্ট যোগ্যতম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসু’র রের্কড ভেঙে দেবেন তিনি। তার মধ্যেই আবার যদি দিল্লি থেকে ডাক আসে, তা হলে ঘটনাক্রম সেই দিকেই বইবে।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসীন থাকবেন। তারপর থেকে তিনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন একটি অনুষ্ঠানে, যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অভিষেক।” যদিও এই বার্তাকে তিন নিজস্ব মতামত হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
এছাড়াও নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে এদিন কুণাল একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “২০২১ সালের লড়াই তৃণমূলকে পরিচয় দিয়েছে। উচ্চতা দিয়েছে। মানুষ চিনিয়েছে। বিপদ বুঝিয়েছে। আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি।”
আরও পড়ুন…..‘বেশি করলে বিয়ের আগেই ডিভোর্সটা হয়ে যাবে’, দেব-রুক্মিণীকে দাদাগিরির মঞ্চে সরাসরি বিঁধলেন সৌরভ
আরও পড়ুন…..আর্থিক ভাবে আরও লাভবান হতে, প্রতিদিন পূজার সময় ফুলের সাথে দিন এই বিশেষ উপকরণ
তবে এই বিষয়ে কুণালকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এটাকে অভিষেক মেনে নিতে পারবে তো? এখন থেকেই তো হারবার মডেল তৈরি করে নিয়েছে। আগে বাংলা মডেল বলা হত, এখন ডায়মন্ড হারবার মডেল বলা হয়। আগে বলা হত, বাংলা দেশকে পথ দেখায়। এবার হয় তো বলা হবে, ডায়মন্ড হারবার দেশকে পথ দেখায়।”