তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় ভীত বিশ্ববাসী, শান্তির বার্তা নিয়ে কলকাতার রাস্তায় মিছিল Madan Mitra-এর

বিশ্বে বাজছে রণডঙ্কা। রাশিয়ার আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। যুদ্ধের কামড়ে কাহিল গোটা দেশ। সেখানে থাকা ভারতীয়দের ঘরে ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমতাবস্থায় বাংলাতেও উঠেছে যুদ্ধ বিরোধী রব। ইতিহাসের পাতায় ( Madan Mitra ) তাকালে দেখা যাবে চিরকালই দেশের নানা প্রান্তে ঘটা ঘটনার বিরুদ্ধে কিংবা সপক্ষে কলকাতার রাস্তায় দেখা গেছ মিছিল। আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিয়েও এক কালে কলকাতার পথেও বেরিয়েছিল আমেরিকার বিরোধী মিছিল।

সেকালের কলকাতা আর একালের কলকাতার মধ্যে এই বিষয়ে নেই কোনও তফাৎ। দেশের কিংবা বিশ্বের কোনও প্রান্তে শাসক অত্যাচার শুরু করলে কলকাতা জেগে ওঠে আজও। বর্তমানে বিশ্বের সামনে নয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি। রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী ( Madan Mitra ) মনোভাবের জেরে রীতিমতো চিন্তার পরিস্থিতি চারিপাশে। এমতাবস্থায় সেকালের কলকাতা জেগে উঠেছে একালেও। যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই স্লোগান দিয়েই চলছে মিছিল।

এদিন দুপুর নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র ( Madan Mitra ) একটি ভিন্টেজ গাড়ি চেপে কলকাতার পথেই বেরিয়ে পড়েন। গাড়ি দেখে মনে হতে পারে নিজের ব্যবহারের জন্য কিনেছেন তিনি। কিন্তু আদতেই তা নয়। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সারা বিশ্বে এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঠিক এই সময় শান্তির বার্তা নিয়ে কলকাতার রাস্তায় ( Madan Mitra ) মদন মিত্র। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে আয়োজন করা হয়েছে ভিন্টেজ কার র‍্যালির। এই র‍্যালিতে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত গাড়িও। আগামীকাল টালিগঞ্জ ক্লাব থেকে শুরু হবে এই ভিন্টেজ কার র‍্যালি। সেখানেই অংশগ্রহণ করবেন মদন মিত্র। শান্তির বার্তা নিয়ে কলকাতার বুকে করবেন এই র‍্যালি। এদিন তিনি জানালেন, “যুদ্ধে সারাবিশ্বে শান্তির বার্তা দেওয়ার জন্যই এই ভিন্টেজ কার র‍্যালির আয়োজন। আগামীকাল সারা কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই গাড়িগুলো শান্তির বার্তা নিয়ে প্রদক্ষিণ করবে।

আরও পড়ুন….পুড়ল তৃণমূল কর্মীর গাড়ি, বহিরাগতদের নিয়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিজেপি, তোপ শাসকদলের

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময়ে ভোর নাগাদ ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। প্রথমদিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে বোমার পরিমাণ। এমতাবস্থায়, ইউক্রেনের বাসিন্দাদের নিয়ে বাড়তে থাকে চিন্তা। ঘোষণা হয়ে যায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির। ক্রমাগত এরোপ্লেন যেতে থাকে সেখানে থাকা ভিনদেশি ও ইউক্রেনের বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে। কিন্তু বোমার পরিমাণ বাড়লে আকাশ পথে নিষেধ লাগিয়ে দিতে হয় সেখানকার সরকারকে। ফলত দূর দেশেই আটকে পড়ে বহু ভারতীয়। যার জেরে এই দেশেও বাড়তে থাকে চিন্তা। পরিস্থিতিকে হাতের মুঠোয় আনার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে কলকাতাতে সরব হয়েছেন যুদ্ধবিরোধী তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” স্লোগান দিয়ে হবে ভিন্টেজ কার মিছিল।




Leave a Reply

Back to top button