চালাতে জানেন না মোবাইল-কম্পিউটার! পিছিয়ে পড়া প্রধান-উপপ্রধানদের প্রযুক্তির শিক্ষা দেবে রাজ্য সরকার

সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে এগিয়েছে বিশ্ব। নব্য প্রযুক্তিকে এই সমাজ আপন করেছে দিন প্রতিদিন। তবে সমাজের সব স্তরে কিন্তু এখনও পৌঁছতে পারেনি বর্তমানে এই নব্য প্রযুক্তি বা ইন্টারনেট। সরকার থেকে নানা প্রকল্প নেওয়া হলেও তাতে খুব বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এমনটা মনে করেন না ওয়াকিবহাল মহল। যার ফলে দিন শেষে নব্য প্রযুক্তির সুবিধা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে সেই শ্রেণী।  আর এই বেহাল দশা যে শুধু  সাধারণ মানুষের এমনটা মোটেই নয়। শাসক দল বা বলা চলে সরকারের নিচ মহলের প্রতিনিধিরাও আজ এই নব্য প্রযুক্তির দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। যার ফলে তাদের প্রতিনিধিত্ব এলাকাও বঞ্চিত হয়ে চলেছে এই ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগ থেকে। এবার সকল সমস্যার সমাধান মেটাতেই উদ্দ্যােগী রাজ্য সরকার। গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেকেই মোবাইল-কম্পিউটারের ব্যবহার জানে না। এই পরিস্থিতি পঞ্চায়েতের অনেক কাজের ক্ষেত্রেই সাহায্য নিতে হয় বাইরের কারোর। সেই দুরাবস্থাকেই সংশোধনের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার। রাজ্য জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি জুড়ে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ শিবির। 

panchayat

মঙ্গলবার থেকে হুগলি জেলার অন্তর্গত ধনিয়াখালিতেও শুরু হয়েছে এই প্রশিক্ষণ পর্ব। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের নিয়ে শুরু করা হয়েছে শিবির। শুধুই হুগলি নয় রাজ্যের নানা জেলায় চলছে এই প্রশিক্ষণ শিবির। পঞ্চায়েতের কম্পিউটার জনিত কাজের ক্ষেত্রে প্রধান এবং উপপ্রধানদের যাতে অন্য কারোর সাহায্য না নিতে হয় সেই বিষয়টিকেই সুনিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে সমাজ-বিশ্ব। কিন্তু সমাজের এত উন্নতির মাঝেও আজও পিছিয়ে অনেকেই। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের সঙ্গে বর্তমানে জুড়ে গেছে প্রযুক্তিও। কিন্তু তা সত্বেও পিছিয়ে বহু মানুষ। গ্রাম এলাকায় আজও কম্পিউটার নিয়ে জ্ঞানশূন্য সেখানকার মানুষ, এমনকি পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানরাও। যার ফলে সরকারি অনেক কাজ কর্ম কম্পিউটারের ব্যবহার মাধ্যমে করতে পারেন না তাঁরা। এবার সেই সমস্যাই দূর করবে রাজ্য সরকার। শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির। ওয়ার্ড, এক্সেল-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সকল কম্পিউটারের কাজগুলো শেখানো তাঁদের। যাতে তারা হয়ে ওঠেন আগামীর বাহক।




Leave a Reply

Back to top button