মগ, বালতি না থাকায় বাথরুম বিভ্রাটে মুখ্যমন্ত্রী! কীভাবে সেরেছিলেন কাজকর্ম

আমেরিকায় বাথরুম বিভ্রাট! শুনতে খানিকটা টেনিদা গল্পের মতো লাগলেও, এটি কোনও কল্পনাতীত গল্প নয়। আসল বাস্তব, যা ঘটেছিল  স্বয়ং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।  মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক কাজ কর্মের ফাঁকে যেন অন্য মেজাজে ধরা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের অতীত জীবনের কিছু হাসির কথা তুলে ধরেন সকলের সামনে। 

এদিন হোম ট্যুরিজমের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হয় যে, হোমস্টের দেড় লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য পশ্চিমী ধাঁচে তৈরি বাথরুম বাধত্যমূলক। কিন্তু ঘরের  মধ্যে বাথরুম তৈরি করতে নারাজ আদিবাসীরা। সেই কারণে হোমস্টে তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সমাধান হিসাবে মাটির শৌচালয় তৈরির পরামর্শ দেন। আর এই বাথরুমের কথা তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিদেশে বাথরুম বিভ্রাটের কথা  তুলে ধরেন সর্বসম্মুখে। 

mamata banerjee at america (1)

উল্লেখ্য, এদিন তিনি বলেন, “আমি যখন প্রথম ইউনাইটেড নেশনসে গেলান। সেবার ইউ এন-এর একটি জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে খোদ অটলজি আমায় পাঠিয়েছিলেন। সেখানে আলাদা ঘর। আর বাথরুমে যেতেই চক্ষু চড়ক গাছ। মগ, বালতি কিছুই নেই সবই ওয়েসর্টান নিয়ম। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। হোটেল থেকে গিয়ে একটা সসপ্যান নিয়ে আসি। সসপ্যান মানে ওই ডেচকি। তারপর তা দিয়েই স্নান করেছিলাম। মগের বদলে ডেচকি দিয়ে স্নান।”

তবে এখানেই ইতি টানেননি মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সংস্কৃতির কথা টেনে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমি যদি বিদেশে গিয়ে নিজের দেশের সংস্কৃতিকে পালন করতে পারি। তা হলে নিজেদের দেশে থেকে কেন সেই নিয়মের অমান্য করব?  যারা পারবে করবে। কিন্তু আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তাদের নিজেদের সংস্কৃতি পালন করতে দাও। সেখানে আমরা কোনও ভাবেই নাক ঢোকাবো না। ওঁদের নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে আনন্দে থাকতে দাও। ’

একই সঙ্গে এদিন ভারতীয় সংস্কৃতির ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেটা ভারতীয় সংস্কৃতি সেটাই থাকুক। বাথরুম, স্নানের ঘর এগুলো থাকবে। আর যেসব পর্যটক আসবেন এটাই পছন্দ করবেন। বিদেশ থেকে কেউ এলে সম্পূর্ণ নিয়ম ইংরেজীতে লিখে দেওয়া হবে তার জন্য। তা হলে তারা সেই নিয়ম মেনেই চলবেন।’




Leave a Reply

Back to top button