বাম-কংগ্রেস জোটের ছন্দ-পতন, শুরু কাদা ছোড়া-ছুড়ি!
হঠাৎ কি হল সেলিমের, নিশানার টোপ কংগ্রেসের অভিমুখে!

হঠাৎ বাম-কংগ্রেস জোটের ছন্দপতন।সরকারি ভাবে না হলেও বাংলায় তাদের অলিখিত জোট তৈরি হয়েছে৷ নির্বাচনী সাফল্য না পেলেও এ রাজ্যে গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছে৷ সাগরদিঘির মতো আসনে একসঙ্গে লড়ে সাফল্যও পেয়েছে দুই দল৷ এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আন্দোলনেও দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতাদের।
এবার যেন সুর বদল বামেদের। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে একটি সভা থেকে তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বসলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ অবশ্য তার জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রানিনগরের সভা থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘ভোরের অন্ধকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বিমানে রাহুল গান্ধির ঘরে গেলেন৷ আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো৷ আর তখন রাহুলের পা ধরে গিয়ে বলছে দাদা আমাকে বাঁচাও৷’ তিনি আরও বলেন,শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর রাজ্যে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট ভেঙে যাওয়া নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক৷ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘কংগ্রেসকে ছাড়া ২০১১ সালে তৃণমূলের পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব হত না৷ আর ভোটের ছ মাসের মধ্যে কংগ্রেসকে লাথি মারার চেষ্টা করলেন৷ গোটা রাজ্যের কংগ্রেস, কর্মীরা এটা ভোলেননি৷’
যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধির পা যদি কেউ ধরতে যায় তাহলে কি রাহুল গান্ধি বলবেন ঘরে ঢুকো না?’ সিপিএম এবং কংগ্রেসের এই চাপানউতোরে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল এবং বিজেপি৷ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘২০১১- র ভোটে তৃণমূল একক ভাবেই বামফ্রন্টকে হারিয়েছিল এটি মহম্মদ সেলিমের মনে রাখা উচিত৷ আর ২০১৬ এবং ২০২১ -এ বাংলার মানুষ ওদের শূন্য করে দিয়েছে৷ অবস্থান না বদল করলে আগামী দিনে ওরা মহাশূন্যে পৌঁছে যাবে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।