হনুমান যখন পড়ুয়া! ছাত্র-ছাত্রীরা মজা পেলেও বেশ চাপে স্কুল কর্তৃপক্ষ
হনুমান ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে বসে পড়াশোনা করছে। শুধু পড়াশোনা না ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে টিফিন খায়, খেলাধুলা করে আবার তার মাঝে আঁচড়ও দেয়।

শুভঙ্কর, পশ্চিম মেদিনীপুর: পড়াশুনা করতে কেই না চায়না।এখন কেউ কি চায় অশিক্ষিত হয়ে থাকতে। হয়তো কেউ বেশি পড়াশোনা করে আবার কেউ একটু কম পড়াশোনা করে। কিন্তু সবারই ইচ্ছা হয় অক্ষর পরিচয়টা জানতে। আর সেজন্যই সবাই ভর্তি হয় স্কুলে। তবে দাসপুরের সাগরপুর আশুতোষ হাইস্কুলে ঘটলো এক আজব ঘটনা। সেই স্কুলের কতৃপক্ষ পড়েছে বেজায় বেহাল অবস্থায়। কারণ সেখানে কোন মানুষ নয় বরং একজন হনুমান ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে বসে পড়াশোনা করছে। শুধু পড়াশোনা না ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে টিফিন খায়, খেলাধুলা করে আবার তার মাঝে আঁচড়ও দেয়। ইতিমধ্যে সে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেছে। তবে সে যে হনুমান। মানুষ নয়। তাই সে কখন কি কাজ করবে সেটা বোঝা খুবই দুষ্কর। মাঝে মাঝে সে খেলতে খেলতে পড়ুয়াদের আঁচড়েও দেয়। শুধু আছড়ে দেওয়া নয় মাঝে মাঝে পড়ুয়াদের টিফিন নিয়ে সে পালিয়েও যায়। আর এতে ভীষণ মজা পায় ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা খুবই আতঙ্কে আছেন।
হনুমানের বাদরামি আর সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। এ বিষয়ে আশুতোষ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানস কুমার মান্না বলেন, ‘ প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ইদানিংকালে তার বাদরামি খুবই বেড়ে যায়। সে এখন দাঁত মুখ খিচিয়ে পড়ুয়াদের দিকে ছুটে আসে। যার ফলে ভয় পাচ্ছে পড়ুয়ারা।’ তবে এক বিষয়ে বনদপ্তর কর্মী অসিত বরণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ আমরা এই বিষয়টি জানতাম না। তবে আমরা শীঘ্রই হনুমানটিকে ধরার ব্যবস্থা করব। সব থেকে মূল বিষয় হনুমান যেখানে খাবার পায় সেখানেই থেকে যায়। আর স্কুলে সে নিয়মিত খাবার পাচ্ছিল। তাই সে ওখানেই থেকে গেছে।’
স্কুলে যখন গরমের ছুটি ছিল তখনই ওই হনুমানটি স্কুলের মধ্যে আস্তানা গেড়ে বসে। স্কুল করার পরেই দেখা যায় সে স্কুলে আছে। মাঝে মাঝে সে বল নিয়ে সে পড়ুয়াদের দেয়, আবার কখনো দুষ্টুমি করে সেই বলটা নিয়ে পালিয়েও যায়। এমনকি দেখা গেছে সে স্কুলের পড়ুয়াদের কাঁধে চেপেও পুরো স্কুল চত্বর ঘুরছে। কিন্তু সবার কপালে তো আর সুখ সয়না। তার বাদরামির জন্য এখন হয়তো তাকে এই স্কুল ত্যাগ করতে হবে। ছেড়ে যেতে হবে সকল বন্ধুদেরকে।