রাতের অন্ধকারে দু’টুকরো নেতাজী মূর্তি, “বাঙালির এ কেমন নেতাজী প্রেম?”প্রশ্ন স্থানীয়দের

এ বছর নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের ১২৫ তম জন্ম বার্ষিকীতে মেতে ছিল দেশবাসী। যেন এক অন্য আমেজ। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি ডুবে দেওয়ালে দেওয়ালে নেতাজীর ছবি আটকাতে। আর রাজনৈতিক নেতারা ব্যস্ত নেতাজী কার এই দাবি নিয়ে দেশময় পতাকা নিয়ে দৌড়তে। কোনও বিশেষ দিন এলেই হয় তো মানুষের মনে পড়ে তাঁর কথা। বছরের অন্য দিনগুলো তিনি থেকে যান শুধুই থেকে যান বইয়ের পাতায়। তাঁর আদর্শকে কি সত্যিই বাঙালি গ্রহণ করতে পেরেছে? একশো-দেড়শো বছর আগে গড়ে ওঠা এই শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কি সত্যিই পেরেছে তাঁর বিপ্লবকে নিজের বুকে আঁকড়ে ধরতে? হয় তো সত্যিই পারেনি। আর পারেনি বলেই আজ সুভাষের রাজ্যেই ভাঙা হয়েছে তাঁর মূর্তি।
ঘটনা সোদপুরের পানিহাটির মুখার্জি রোডের। নেতাজী মূর্তি ভাঙা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। অভিযোগ মধ্য রাতে চার যুবক এসে ওই নেতাজী মূর্তি ভেঙে ফেলে। স্থানীয়রা প্রথম সেই ভাঙা মূর্তি দেখতে পেয়ে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার প্রভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার সংগতি ক্লাবের উদ্দ্যোগেই এই মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। ওই ক্লাবের এক কর্তার অভিযোগ রাত্রিবেলা চারজন দুস্কৃতী এসে নেতাজী মূর্তি ভেঙে ফেলে এবং স্থানীয় এক সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা বিষয়টিই ধরা পড়ে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ তৎক্ষণাৎ তদন্তে নেমে পড়ে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই ধরা যায়নি। তবে নেতাজী মূর্তির ভাঙার এই ঘটনায় সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।
এলাকারই এক বাসিন্দার প্রশ্ন, ‘আমরা কি সত্যিই সম্মান করতে পেরেছি তাঁর আদর্শকে? সত্যিই কি নিতে পেরেছি তাঁর আদর্শকে? হয় তো পারিনি, সেই কারণেই আজও এ ধরণের ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের সমাজে।’ প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা প্রথম নয়। কিছু বছর আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়েও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে।