পঞ্চায়েত ভোট হিংসায় নিহতদের পরিবারকে এবার চাকরি দেবে রাজ্য!

পঞ্চায়েতে হিংলায় বলি, পরিবারপিছু ১ জনকে চাকরি দেবার ঘোষণা রাজ্যের

রাজ্যে পঞ্চায়েত হিংসায় নিহতদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের। চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্রাছাড়া হিংসার অভিযোগ তোলে সমস্ত বিরোধী দল। ভোটের বলি হন প্রচুর মানুষ। সরকারি হিসেবে পঞ্চায়েত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন। একাধিক জায়গায় হামলার শিকার হন ভোটকর্মীরাও। এই অভিযোগ পেয়ে আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ভোটকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসার বলি হওয়া নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। শুক্রবার ক্যাবিনেট বৈঠকে পঞ্চায়েত হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একজনকে হোম গার্ড ভলান্টিয়ার-এর চাকরি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

Panchayat Election 2023,WestBengal Government,Job

মূলত, হিংসা, খুনোখুনির মধ্যে দিয়ে হয়েছিল এ’বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার বলি ১৯। যুযুধান রাজনৈতিক পক্ষের পাশাপাশি হামলার শিকার হয়েছেন ভোটকর্মীরাও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ভোটকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানায়। এবার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসার বলি হওয়া নিহতদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। প্রত্যেক পরিবারের একজনকে হোম গার্ড ভলান্টিয়ার-এর চাকরি দেওয়া হবে। শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বাংলায় এমন ঘটনা নজিরবিহীন নয়। ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহত হয়েছিলেন ৭৬ জন (তার মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদেই ৪৫ জন)। ২০০৮ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৬। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার বলি হয়েছিলেন ৩৯ জন এবং ২০১৮ সালে ২৯ জন। তার মধ্যে ভোটের দিনেই ১৩ জন।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নিহতর সংখ্যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি তুলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ১৯ জন মানুষের মৃত্যুর কথা বলেছেন। তাই সকলকে চাকরি এবং আর্থিক সাহায্য দিতে হবে বলে সুর চড়াও শুভেন্দু অধিকারী।




Leave a Reply

Back to top button